রাফি মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানাধীন বলিঘর গ্রামের মো. মোখলেসুর রহমানের ছেলে। তিনি শ্রীকাইল সরকারি কলেজ থেকে এ বছর এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, বুধবার দুপুর ২টার দিকে জ্বর, শ্বাসকষ্ট ও কাশি এবং পায়ের সমস্যা নিয়ে চিকিৎসা নিতে তিনি নবীনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান। কিন্তু ভর্তি হওয়ার আগেই তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ঢাকায় পাঠানোর পরামর্শ দেওয়া হয়। কিন্তু গাড়িতে তোলার আগেই তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়ে মারা যান। কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
বাঙ্গরা বাজার থানার ওসি মো. কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, ‘করোনার উপসর্গ নিয়ে যুবকের মৃত্যু সংবাদ পাওয়া মাত্র আমরা ওই বাড়ির আশেপাশের বাড়িগুলো লকডাউন করে রেখেছি। পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে রাফি দীর্ঘদিন ধরে শ্বাসকষ্ট ও অ্যাজমাজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন। গত ছয় দিন আগে তার পা ভেঙে যায়। ’
রাফির বাবা মোখলেছুর রহমান জানান, দীর্ঘদিন ধরে শ্বাসকষ্টজনিত নিউমোনিয়ায় অসুস্থ ছিল রাফি। বছর খানেক আগেও ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা করানো হয়। রাফি কাজ করতে গিয়ে বাম পা ভেঙে গেলে গ্রামের ডাক্তার দিয়ে প্লাস্টার করা হয়। ইনফেকশন হওয়াতে নবীনগরে সরকারি হনাসপাতালে তাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।
ডা. মোশরাত ফারখান্দা জেবিন বলেন, ‘করোনাভাইরাসের একাধিক উপসর্গ তাঁর মাঝে লক্ষ্য করেছি। বিশেষ করে শ্বাসকষ্ট ও জ্বর ছিল। তাই তার করোনা পরীক্ষার জন্য সব নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়ার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ।’