স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি জিল্লুর রহমানের সঙ্গে একই ইউনিয়নের থানাকান্দি গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা সর্দার আবু কাউসার মোল্লার বিরোধ চলছে। বিরোধের জের ধরে রবিবার উভয়পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এসময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে জিল্লুর রহমানের সমর্থক মোবারক মিয়ার (৪৫) এক পা কেটে নিয়ে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে গ্রামে আনন্দ মিছিল করে আবু কাউসার মোল্লার সমর্থকেরা।
এ দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনার ঝড় ওঠে। এতে নড়েচড়ে বসে স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। পরে পৃথক স্থান থেকে ভোররাতে দুই পক্ষের নেতাকে গ্রেফতার করা হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন জানান, সংঘর্ষের ঘটনার মূলহোতা কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমানকে সোমবার ভোরে রাজধানীর কলাবাগান থেকে ও থানাকান্দি গ্রামের কাউছার মোল্লাকে গভীর রাতে আশুগঞ্জের বায়েক গ্রাম থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সংঘর্ষে জড়িত থাকার দায়ে মোট ৪৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় তাদের কঠোর আইনি পরিণতি ভোগ করতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।