জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জে প্রায় ৮শ’ ওপরে নিট গার্মেন্টস কারখানা রয়েছে। এসব কারখানায় প্রায় আড়াই লাখেরও বেশি শ্রমিক কাজ করেন। শ্রমিক অধ্যুষিত নারায়ণগঞ্জে প্রতিদিনই ৫০-৬০ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছেন। আইইডিসিআরের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, নারায়ণগঞ্জে গত ৮ মার্চ থেকে ২২ এপ্রিল পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৯৯ জন। তাদের মধ্যে মারা গেছেন ৩৫ জন।
ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র নারায়ণগঞ্জ শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিদিনই বাড়ছে। সরকারের লকডাউন চলছে। অনেক শ্রমিক এখন পর্যন্ত মার্চ মাসের বেতন পায়নি । তার ওপর এসব শ্রমিকদের গ্রাম থেকে ডেকে এনে গার্মেন্টস চালু করলে শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দিতে হবে।’ তিনি মালিকপক্ষের প্রতি শ্রমিকদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে গার্মেন্টস চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়ার আহ্বান জানান।
এ বিষয়ে বিকেএমইএ সভাপতি একেএম সেলিম ওসমান বলেন, ‘সরকারি নির্দেশনা মেনে এবং সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে গার্মেন্টস খোলা যায় কিনা সেটি আমরা চিন্তা করছি। গার্মেন্টস কারখানা চালু করার চিন্তার পেছনে অন্য একটি কারণ হচ্ছে, এই মুহূর্তে যদি কারখানা খোলা না যায় তবে উন্নত দেশের অর্ডারগুলো অন্য দেশে চলে যেতে পারে। এতে আমরা বাজার হারাবো। অর্থনৈতিকভাবে আমাদের অবস্থান খারাপের দিকে যাবে। অনেক কারখানা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বিষয়টি খুবই সেনসিটিভ। তাই আমরা সরকার ও মালিকপক্ষ সবার সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত নেবো।’
শ্রমিকদের নিরাপত্তার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘শ্রমিকের স্বাস্থ্য সুরক্ষা করা মালিকপক্ষের সর্বপ্রথম কর্তব্য। যদি গার্মেন্টস খোলা হয়, শ্রমিকের সুরক্ষার বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হবে। সেজন্য বিকেএমইএ ও বিজিএমইএ যৌথভাবে কাজ শুরু করেছে।’