দুই মাস পর ট্রাকচালক ও সহকারীদের ফেরত নিলো ভারত




লকডাউন থাকায় ট্রাকচালক ও সহকারীদের দেশে ফেরতের অনুমতি দিচ্ছিলো না ভারতকরোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সাধারণ ছুটি ও লকডাউন চলার কারণে দুই মাসের মতো সময় ধরে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে আটকে ছিল পণ্য নিয়ে আসা ভারতীয় তিন ট্রাকসহ চালক ও সহকারীরা। পরে শনিবার (২৩ মে) তারা ভারতে ফেরত যায়। দীর্ঘদিন ধরে বন্দরে আটকা থাকায় টাকা-পয়সা শেষ হয়ে যাওয়ায় খাবারের কষ্টসহ পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পারায় মানবেতর জীবন যাপন করছিলেন তারা।

বিকাল ৪টার দিকে হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে আটকে পড়া তিনটি ট্রাক, এর চালক ও সহকারী মিলিয়ে ছয় জন ভারতে ফেরত যান। এসময় সেখানে বিজিবি, কাস্টমস ও বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। গত ২৫ মার্চ আমদানি করা টাইলসের মাটি নিয়ে আসে ওই তিন ট্রাক। পরে ২৬ মার্চ থেকে সরকারি সাধারণ ছুটি ও লকডাউনের কারণে ভারত না ট্রাকগুলোর চালক ও সহকারীদের ফেরত নেয়নি। দীর্ঘদিন তারা বন্দরে আটকা ছিলেন।

দেশে ফেরত যাওয়া ভারতীয় ট্রাক চালক রাজেশ ও বিপ্লব বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, দুই মাসের মতো সময় হয়ে গেলো আমরা ভারত থেকে বাংলাদেশে এসেছিলাম। আমাদের সঙ্গের টাকা শেষ হয়ে যায়, এতে খাবার সংকটে পড়ে মানবেতর জীবন যাপন করছিলাম। বন্দরের লোকজন আমাদের যে খাবার দেয়, তা দিয়েই আমাদের জীবন বাঁচে। দীর্ঘদিন ধরে পরিবারের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ করতে পারছিলাম না। এ নিয়ে তারাও খুব টেনশনে ছিল। পরে আমাদের আবেদনের পরিপেক্ষিতে অনুমতি মেলায় আমরা দুই মাস পর ভারতে ফিরে যাচ্ছি।

হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে ২৬ মার্চ থেকে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। এর পর থেকে বন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এছাড়াও ভারতেও লকডাউন চলার কারণে কোনও পণ্য রফতানি করছে না। এ অবস্থায় তিনটি ট্রাকে চালক ও সহকারীরা বন্দরের ভেতরে আটকে পড়ে। পরে ট্রাকগুলো থেকে পণ্য খালাস হয়। তবে ভারতে লকডাউন চলার কারণে দেশটির কর্তৃপক্ষ তাদের নিচ্ছিলো না। তবে বন্দর কর্তৃপক্ষ খাবার থেকে শুরু করে নিত্যপণ্য সরবরাহ করে তাদের সহায়তা করে। এ বিষয়ে বেশ কয়েকবার ভারতকে অনুরোধ জানানো হয়েছিল। পরে অনুমতি মেলায় সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে আটকে থাকা তিনটি ট্রাক, এর চালক ও সহকারীদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়।