যমুনায় নৌকাডুবির ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১০

নৌকাডুবির ঘটনায় উদ্ধার কাজ চলছেসিরাজগঞ্জের চৌহালীর স্থল ইউনিয়নে যমুনা নদীতে যাত্রী বোঝাই নৌকা ডুবির ঘটনায় বৃহস্পতিবার (২৮ মে) বিকালে আরও একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে এই ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ১০ জনে। চৌহালী উপজেলা নির্বাহী অফিসের তথ্যানুযায়ী এ ঘটনায় এখনও ছয় জন নিখোঁজ রয়েছেন।

চৌহালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশেদুল ইসলাম বিশ্বাস, এনায়েতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোল্লাহ মাসুদ এবং চৌহালীর ইউএনও দেওয়ান মওদুত আহম্মেদ জানান, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত যমুনা নদীর চৌহালীর আজিমুদ্দিন মোড়, ঘুষুরিয়া, স্থল ও এনায়েতপুর থেকে ভেসে ওঠা পাঁচটি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। লাশগুলো উদ্ধার করে পাড়ে নিয়ে আসেন এলাকাবাসী। এর আগে উদ্ধার করা হয় আরও পাঁচটি লাশ।

এদিকে, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দ্বিতীয় দিনের মতো ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল উদ্ধার কাজ শুরু করে। তবে, ডুবুরি দলের কেউই গত দু’দিনে কোনও লাশ উদ্ধার করতে পারেননি। ১০টি লাশই উদ্ধার করেছেন স্থানীয়রা এবং নিহতের স্বজনরা। নৌকা ডুবির পর স্থানীয়রাই জীবিত ৫৭ জনকে উদ্ধার করতে সক্ষম হন।

জেলা প্রশাসক ড. ফারুক আহাম্মদ জানান, ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের অধীন জেলার ক্ষয়রাতি তহবিল থেকে নিহতের পরিবারের প্রত্যেককে ২৫ হাজার টাকা করে অনুদান দিতে চৌহালী ও বেলকুচির ইউএনও-কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নৌকাডুবিতে জেলার বাইরের কেউ মারা গেলে সে জেলার ডিসিদের একই ধরনের উদ্দ্যোগ নিতে অনুরোধ করা হবে।

উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার (২৬ মে) এনায়েতপুর থেকে ৭৩ জন যাত্রী নিয়ে নৌকাটি চৌহালীর দিকে যাচ্ছিল। নৌকাটি স্থলচর এলাকায় পৌঁছলে ঝড়ো বাতাসের কবলে পড়ে ডুবে যায়। এতে ওই দিনই ঘটনাস্থল থেকে শিশুসহ দুই জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। ওই দিন জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় ৫৭ জনকে । এ দুর্ঘটনায় বর্তমানে নিখোঁজ রয়েছেন ছয় জন। যাত্রীদের অধিকাংশই ধানকাটা শ্রমিক।