প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভের সময় বিভিন্ন যানবাহনের হাজার হাজার যাত্রী চরম দুর্ভোগে পড়েন। অনেক যাত্রী পরিবার পরিজন ও মালামাল নিয়ে পায়ে হেঁটে ওই এলাকা অতিক্রম করেন।
পুলিশ জানায়, কারখানাটির বিভিন্ন বিভাগে শ্রমিক রয়েছে প্রায় তিন হাজার। সাম্প্রতিক সময়ে কারখানাটির কোনও ওয়ার্ক অর্ডারও নেই। কিন্তু শ্রমিকেরা চাকরি চান। ফলে সকাল থেকে ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদে বিক্ষোভ শুরু করেন শ্রমিকরা। কারখানা কর্তৃপক্ষ ঈদের ছুটির পরই শ্রমিকদের স্বাস্থ্যঝুঁকি ও করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের বিষয় উল্লেখ করে ছাঁটাইয়ের নোটিশ দেয়। শ্রমিকরা সোমবার সকালে কাজ করতে এসে ওই নোটিশ দেখে উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। শ্রমিকদের বেতনসহ যাবতীয় পাওনা ৪ জুনের মধ্যে বুঝিয়ে দেওয়া হবে বলে ওই নোটিশে উল্লেখ করা হয়। এরপর শ্রমিকরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেন।
বিক্ষোভকারী শ্রমিকরা সাংবাদিকদের বলেন, তারা কাজ করতে চান। বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে তারা বেকায়দায় রয়েছেন। এ সময়ে চাকরি চলে গেলে পরিবার পরিজন নিয়ে তাদের পথে বসা ছাড়া উপায় থাকবে না। মানুষের দুর্ভোগের কথা জেনেও নিজেদের দাবি আদায়ে বাধ্য হয়ে তারা মহাসড়ক অবরোধ করেছেন।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি) ট্রাফিক দক্ষিণের সহকারী কমিশনার পীযুষ কুমার দে জানান, অবরোধ চলাকালে পুলিশ একাধিকবার শ্রমিকদের মহাসড়ক ছেড়ে দিতে অনুরোধ জানায়। দুপুর ১টার দিকে শ্রমিকদের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যা সমাধানের জন্য বলা হলে তারা মহাসড়ক অবরোধ তুলে নেন। পরে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।