ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে গণপূর্ত অফিস ভাঙচুরের অভিযোগে জিডি

101561028_779851575880525_8816467045685133312_n

নড়াইল জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আশরাফুজ্জামান মুকুল ও সাধারণ সম্পাদক নিলয় রায় বাঁধনের বিরুদ্ধে গণপূর্ত অফিস ভাঙচুরের অভিযোগে সদর থানায় জিডি দায়ের করা হয়েছে। গণপূর্ত অফিসের ঠিকাদারি কাজের তালিকা ও চুক্তিপত্র দেখানোর বিষয়কে কেন্দ্র করে অফিস কক্ষ ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এসময় অফিসের উচ্চমান সহকারী হাবিবুর রহমান বিশ্বাস আহত হন।

সোমবার (১ জুন) দিনরাত ১০টার দিকে গণপূর্ত অফিসের উচ্চমান সহকারী হাবিবুর রহমান বিশ্বাস নড়াইল সদর থানায় জিডিটি দায়ের করেন।

জিডিতে উল্লেখ করা হয়েছে, সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে আশরাফুজ্জামান মুকুল ও নিলয় রায় বাঁধন গণপূর্ত অফিসকক্ষ ভাঙচুরসহ সরকারি কাজে বাধা প্রদান, সরকারি সম্পত্তি বিনষ্টকরণ ও প্রাণনাশের হুমকিসহ ত্রাস সৃষ্টি করেছেন। ছাত্রলীগের সাবেক দুই নেতা সোমবার দুপুরে প্রথমে গণপূর্ত অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ নাহিদ পারভেজের কক্ষে প্রবেশ করেন। তারা তালিকাভুক্ত ঠিকাদার না হওয়া সত্ত্বেও নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছে ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের সব কাজের তালিকা ও চুক্তিপত্র দেখানোর জন্য উত্তেজিতভাবে কথা বলেন। এক পর্যায়ে ছাত্রলীগের দুই নেতা গণপূর্ত অফিসের উচ্চমান সহকারী হাবিবুর রহমান বিশ্বাসের কক্ষে এসে করোনাভাইরাসের সাধারণ ছুটিতে যেসব কাজের চুক্তি হয়েছে তার ফটোকপি চান। এছাড়া তাদের কেন দরপত্র (টেন্ডার) আহ্বানের বিষয়ে অবগত করা হয়নি তা জানতে চান এবং ১০ মিনিটের মধ্যে সব কাগজপত্র দেওয়ার দাবি জানান। একপর্যায়ে অফিসের উচ্চমান সহকারী হাবিবুর রহমান বিশ্বাসকে তারা গালিগালাজ শুরু করেন। এসময় তারা চেয়ার তুলে উচ্চমান সহকারী হাবিবুর রহমান বিশ্বাসকে আঘাত করতে যান। হাবিবুর রহমান বিশ্বাস মাথা সরিয়ে নিলে তাদের ছোড়া চেয়ারের আঘাতে অফিসের টেবিলের কাঁচ ভেঙে যায়। এছাড়া অফিসের টেলিফোন সেট, কলমদানি ও ফাইলপত্র ছুড়ে ফেলেন তারা। এই ঘটনায় টেবিলের কাঁচের আঘাতে অফিসের উচ্চমান সহকারী হাবিবুর রহমান বিশ্বাসের একটি আঙ্গুল কেটে গেছে। এসময় তারা দাফতরিক নথিপত্র ছিনতাইয়ের চেষ্টা করলে তাতে বাধা দেন গণপূর্ত অফিসের উচ্চমান সহকারী হাবিবুর রহমান। তারা হাবিবুর রহমানের কাছে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দিলে বাসায় যাওয়ার পথে হাবিবুর রহমান বিশ্বাসকে মেরে ফেলারও হুমকি দেওয়া হয়।

এ ব্যাপারে নড়াইল গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ নাহিদ পারভেজ বলেন, 'অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। প্রয়োজনে মামলা করা হবে।'

এ ব্যাপারে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আশরাফুজ্জামান মুকুল বলেন, নড়াইল গণপূর্ত বিভাগ করোনায় অফিস বন্ধ হওয়ার পর চারটি কাজ গোপন টেন্ডারের মাধ্যমে করিয়েছে এবং এসব কাজের জন্য অফিস ২০ শতাংশ ঘুষ নিয়েছে। আমরা নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছে এসবের প্রতিবাদ করতে গেলে তিনি আমাদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। আমরা কোনও ভাঙচুর ও চাঁদা দাবি করিনি। এটা তাদের সাজানো নাটক। যদি কোনও ভাঙচুর ও চাঁদা দাবি করি তাহলে সিসি টিভি দেখে প্রমাণ করা হোক।