‘নারায়ণগঞ্জে বেসরকারি দুই হাসপাতালে দেওয়া হবে করোনার চিকিৎসা’

ব্রিফিং করেন শামীম ওসমান
রেডজোন নারায়ণগঞ্জে করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিতে আরও দুটি বেসরকারি হাসপাতালকে প্রস্তুত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংসদ সদস্য শামীম ওসমান। সোমবার (২২ জুন) বিকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জরুরি সভা শেষে এক ব্রিফিংয়ে গণমাধ্যমকে এ কথা জানান তিনি।

শামীম ওসমান বলেন, সদর উপজেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানার সাইনবোর্ড এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে আইসিইউ সুবিধাসম্পন্ন প্রো-অ্যাকটিভ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এবং একই মহাসড়কের পাশে বন্দর উপজেলার মদনপুর এলাকায় অক্সিজেন ও ভেন্টিলেটরসম্পন্ন আল বারাকা হাসপাতালকে করোনা হাসপাতালে রূপান্তর করতে জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্টদের নিয়ে জরুরি সভায় আলোচনা হয়েছে। এই দুই প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ স্বপ্রণোদিত হয়ে বিনামূল্যে করোনা রোগীদের সেবা দিতে সম্মত হয়েছে এবং আজ থেকেই তারা করোনা রোগী ভর্তি করবে। হাসপাতাল দুটি প্রস্তুত হলে নারায়ণগঞ্জে করোনা চিকিৎসা সেবা আরও ভালো হবে বলে জানান সংসদ সদস্য শামীম ওসমান।

পাশাপাশি শহরের ৩০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে পিসিআর ল্যাবে কিট সংকটের সমাধানসহ কোভিড-১৯ আক্রান্তদের চিকিৎসাসেবার মান বাড়াতে ইতোমধ্যে সেখানে ১০ শয্যার আইসিইউ ইউনিট চালু করতে প্রক্রিয়া শুরুর কথাও জানান শামীম ওসমান।

তিনি বলেন, খানপুর ৩০০ শয্যা হাসপাতালে নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। মহা দুর্যোগের সময় যারা করোনাকে পুঁজি করে অনিয়ম দুর্নীতিতে জড়িত হবে তাদের কোনও অবস্থাতেই ছাড় দেওয়া হবে না। কারণ এটা শেখ হাসিনার সরকার। তিনি নিজ দলের মধ্যেও যারা অনিয়ম-দুর্নীতির জড়িত তাদেরকে ছাড় দেয়নি

সিদ্ধিরগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকায় অবস্থিত প্রো-অ্যাকটিভ মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক মুজিবুর রহমান ও মদনপুর আল বারাকা হাসপাতালের ডাক্তার মো. খলিলুর রহমান জানান, বেসরকারি দুই হাসপাতালে করোনা রোগীদের চিকিৎসাসেবা প্রদানের ক্ষেত্রে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সরকারের কাছ থেকে কোনও ধরনের আর্থিক সহায়তা নেবে না। তবে চিকিৎসক ও নার্সসহ যেসব সরঞ্জাম স্বল্পতা রয়েছে সেগুলো পূরণের বিষয়ে সংসদ সদস্য শামীম ওসমান তাদেরকে আশ্বস্ত করেছেন বলে জানান সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

এসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মো. জসিম উদ্দিন, সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইমতিয়াজ, জেলা করোনা ফোকাল পার্সন ও সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জাহিদুল ইসলামসহ জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের অন্যান্য কর্মকর্তারা।