করোনা উপসর্গ নিয়ে চট্টগ্রাম নগর বিএনপির সহ-সভাপতি সৈয়দ আহম্মদের মৃত্যু

সৈয়দ আহম্মদ



করোনা উপসর্গ নিয়ে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি সৈয়দ আহম্মদ ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মঙ্গলবার (২৩ জুন) সকাল ৯টায় চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে শ্বাসকষ্ট ও হার্টের অসুস্থতাজনিত কারণে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
সংগঠনটির সহ দফতর সম্পাদক ইদ্রিস আলী এ তথ্য জানিয়েছেন।
মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। তিনি স্ত্রী, ৩ ছেলে, ২ মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী, আত্মীয় স্বজন ও রাজনৈতিক সহকর্মী রেখে গেছেন।

ইদ্রিস আলী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেলে সোমবার রাতে সৈয়দ আহম্মদ সাহেবকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে এইচডিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ সকালে তিনি মারা যান। বাদ আসর আগ্রাবাদ মিস্ত্রী পাড়াস্থ লাল মসজিদে জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। পরে বাইশ মহল্লা চৈতন্য গলি কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
হাসপাতাল সূত্র তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে।

এদিকে সৈয়দ আহম্মদের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান মীর মো. নাছির উদ্দীন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বেগম রোজী কবির, গোলাম আকবর খন্দকার, এস এম ফজলুল হক, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান।

এক শোক বার্তায় নেতৃবৃন্দ বলেন, সৈয়দ আহম্মদ একজন সদা হাস্যোজ্জ্বল ও দল অন্তঃপ্রাণ ব্যক্তি হিসেবে সবার কাছে পরিচিত ছিলেন। দলের প্রতিটি কর্মসূচিতে তার উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপিকে শক্তিশালী সংগঠনে পরিণত করতে তার ভূমিকা ছিল অপরিসীম। তার মৃত্যুতে যে শূন্যতার সৃষ্টি হবে তা সহজে পূরণ হওয়ার নয়। কর্মগুণেই তিনি আমাদের মাঝে বেঁচে থাকবেন। তার অবদান বিএনপি আজীবন স্মরণে রাখবে। তার মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত ও মর্মাহত। আমরা সৈয়দ আহম্মদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি এবং শোকাহত পরিবার,আত্মীয়স্বজন ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।