টানা বৃষ্টিতে প্লাবিত নিম্লাঞ্চল

106323728_691160154949519_8575449021931256515_n (1)

বুধবার থেকে শুক্রবার, টানা তিনদিনের বৃষ্টিতে টাঙ্গন নদীর পানি বেড়েছে। তাই নদীর ধারে বসবাসরত প্রায় পাঁচশ' পরিবারের ঘর-বাড়ি পানিতে প্লাবিত হয়ে গেছে। শুকাতে না পেরে পচে যাচ্ছে ধান ও ভুট্টা। আমন ধানের চারা ডুবে গেছে অনেক কৃষকের। এদিকে বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাতে পীরগঞ্জ ও রাণীশংকৈলে মারা গেছেন একজন কৃষক ও জেলে।

পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রদীপ কুমার প্রায় পরিবারের পানিবন্দি দশার কথা স্বীকার করে জানান, সেখানে পানি নিষ্কাশনের জন্য কিছু ড্রেন করা হয়েছে এবং আগামীতে আরও করা হবে। মূলত নদীর পানিতে তাদের বাড়ি-ঘর প্লাবিত হচ্ছে। নদীর ধারে ব্লক দিয়ে বাঁধ তৈরি করে দেওয়া হলে তারা পানি থেকে রক্ষা পেতে পারেন। আর এই বাঁধ ও ব্লক তৈরি করে বসানোর বরাদ্দ বা বাজেট আমাদের পৌরসভার নেই। সেটা পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাজ। তাই তিনি এবিষয়ে সরকারের সদয় দৃষ্টি কামনা করেন।

এদিকে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন শুক্রবার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করে পানিতে ডুবে যাওয়া মানুষদের জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে আশ্রয় গ্রহণ করার পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেন, 'ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করে পরবর্তীতে তাদের সাহায্যের ব্যবস্থা করা হবে।'