রোহিঙ্গা ক্যাম্পে করোনা রোধে আইওএমের দুটি চিকিৎসাকেন্দ্র নির্মাণ

BT-Newবাংলাদেশে কোভিড-১৯ সংকটের শুরু থেকেই কক্সবাজারে মানবিক সহায়তা কাজে নিয়োজিত সংস্থাগুলো আশ্রয় শিবিরে সম্ভাব্য মহামারি মোকাবিলায় সম্ভাব্য প্রস্তুতির জন্য কাজ করছে।  এর অংশ হিসেবে চলতি সপ্তাহে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের কার্যালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) শ্বাসতন্ত্রের গুরুতর সংক্রমণ চিকিৎসায় দুটি আইসোলেশন সেন্টার নির্মাণ করেছে। রবিবার (২৮ জুন) দুপুরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য নিশ্চিত করেন আইওএমের ন্যাশনাল কমিউনিকেশন অফিসার তারেক মাহমুদ।   

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মানবিক সহায়তায় স্বাস্থ্যসেবার নতুন প্রয়াস হিসেবে কোভিড-১৯ আক্রান্তদের জন্য যথাযথ স্বাস্থ্য ব্যবস্থা সম্বলিত নতুন নতুন সিভিয়ার একিউট রেস্পিরেটরি ইনফেকশন (এসএআরআই) আইসোলেশন অ্যান্ড ট্রিটমেন্ট সেন্টার (আইটিসি) নির্মাণ করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলার স্থানীয় জনগোষ্ঠী এবং রোহিঙ্গা শরণার্থীদের স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া হবে।

টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্প-২৪ (লেদা) এবং উখিয়ার ক্যাম্প-২-এ (ডব্লিউ) নির্মিত এই দুটি বিশেষায়িত কোভিড-১৯ স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে বর্তমানে ৪৭টি এসএআরআই আইটিসি শয্যা রয়েছে। জুলাই মাসের মধ্যেই স্বাস্থ্যসেবাসহ শয্যা সংখ্যা ১১০-এ উন্নীত করা হবে। এই দুটি কোভিড-১৯ স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের মাধ্যমে জেলায় আইওএমের সামগ্রিক স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রমে ভূমিকা রাখবে। এছাড়া শিগগিরই উখিয়ার কুতুপালংয়ে ক্যাম্প-২০-এ (এক্সটেনশন) আরও একটি ১২০-শয্যার এসএআরআই আইটিসির নির্মাণকাজ শেষ হবে।

এ দুটি এসএআরআই আইটিসির পাশাপাশি এখন পর্যন্ত আইওএমের মাইগ্রেশন হেলথ ডিভিশন কক্সবাজারে আরও দুটি প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের পুনর্গঠন করেছে। এখানে প্রাথমিকভাবে সম্ভাব্য রোগীদের পরবর্তী রেফারেলের জন্য সাময়িক পৃথকীকরণ সুবিধা এবং সেন্টিনাল টেস্টিংয়ের ব্যবস্থা রয়েছে। কক্সবাজারের চকরিয়া এবং রামু উপজেলায় সরকারের পরিচালনাধীন আইসোলেশন সেন্টারগুলোতে সহায়তার জন্য আইওএম স্বাস্থ্য অধিদফতর, সিভিল সার্জন অফিস এবং বিশ্ব ব্যাংকের সঙ্গে সমন্বয় করছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কক্সবাজারে কোভিড-১৯-এর প্রভাব কমানো ও বাংলাদেশ সরকারকে সহায়তা করার জন্য বিদ্যমান স্বাস্থ্য পরিষেবা আরও শক্তিশালী ও উন্নত করার কার্যক্রমের ওপর সবচেয়ে গুরুত্ব দিচ্ছে আইওএম। যদিও বর্ষা মৌসুমের কার্যক্রম, সুরক্ষা এবং জীবিকা সংস্থানমূলক কার্যক্রমও চলমান আছে।

গত ২৭ জুন পর্যন্ত, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কোভিড-১৯ আক্রান্ত সংখ্যা ৪৭ জন। মানবিক সহায়তাকারী সংস্থাগুলো কোভিড-১৯-এর বিস্তার নিয়ন্ত্রণে বহুমুখী কার্যক্রমে সম্পৃক্ত আছে। রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির এবং জেলার স্থানীয় জনগোষ্ঠীদের সেবায় নিয়োজিত স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোর ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য অতিরিক্ত সহায়তা দেওয়া হচ্ছে আইওএমের পক্ষ থেকে।