মাদককে কেন্দ্রে করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে পথচারী নিহত

106713296_597516280875418_8877448324647332041_n

চাঁদপুরের মাদক বিক্রিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় শামিম গাজী (২৪) নামের এক পথচারী নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৩০ জুন) সকাল ৭টায় ঢাকা মেডিক্যাল হাসপাতালে সে মারা যায়। এর আগে ২৯ জুন রাতে জেলার প্রধান বাণিজ্যিক এলাকা পুরাণবাজারে সংঘর্ষের ঘটনায় বাসায় ফরার পথে হামলার আহত হয় সে।

নিহত শামিম গাজী পুরাণবাজার মধ্যশ্রীরামদি এলাকার তাজু সর্দারের সেজো ছেলে। সে চাঁদপুরের হোটেল গ্রান্ড হিলশায় রিসিপশনে চাকরি করতো।

ঘটনার বিবরণে জানা যায়, মাদক বিক্রি ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গত ২৭ জুন পুরাণবাজার ১নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জহিরের সঙ্গে স্থানীয় চিহ্নিত মাদক কারবারি হেলালের ঝগড়া হয়। পরে হেলালের পক্ষে ২নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি শাহাদাত পাটওয়ারীর ছোট ভাই রাসেল এবং জহির গ্রুপের সংঘর্ষ হয়। এতে জহির গ্রুপের সবুজ খান (২৪) নামের এক যুবককে কুপিয়ে আহাত করা হয়। ওই ঘটনার রেশ ধরেই রবিবার সন্ধ্যায় দুটি গ্রুপের দফায় দফায় মারামারি হয়। খবর পেয়ে চাঁদপুর মডেল থানা ও পুরাণবাজার ফাঁড়ির পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে চেষ্টা চালায়। এসময় কয়েক রাউন্ড ফাকা গুলি করা হয়। এই ঘটনায় দুটি গ্রুপের প্রায় ১৫ জন আহত হয়।

নিহত শামিমের পিতা তাজুল সর্দার জানান, আমার ছেলে হোটেল গ্রান্ড হিলশায় রিসিপশনে চাকরি করতো। প্রতিদিন সকালে ৮ কাজে যায় আবার রাত সাড়ে ৮টায় ফেরে। ঘটনার রাতে সে হোটেল থেকে ফিরছিলো। এসময় কোনও একটি পক্ষ শামীমকে অন্ধকারে চিনতে না পেরে হামলা চালায়।

তিনি আরও জানান, আমার ছেলে দুই বছর হলো বিয়ে করেছে। তার লামিম নামে ৯ মাসের একটা শিশুপুত্র রয়েছে। ওরা মারামারি করে আমার নিরীহ ছেলেটাকে মেরে ফেলেছে। আমি ছেলে হত্যার বিচার চাই।

চাঁদপুর মডেল থানার ওসি নাছিম উদ্দিন বলেন, 'এই ঘটনায় ৩০ জুন সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত কেউ কোনও অভিযোগ দায়ের করেনি। তবে আমরা ওই এলাকায় অভিযান চালাচ্ছি।'