রামেক হাসপাতালে করোনায় পুলিশ কর্মকর্তার মৃত্যু




পুলিশ কর্মকর্তা আবুল কালামরাজশাহীতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত পুলিশের এক সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আবুল কালামের (৩৫) মৃত্যু হয়েছে। রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার দুপুর (১ জুলাই) ১টার দিকে তিনি মারা যান। হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌস এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, এএসআই আবুল কালামের মৃত্যুর বিষয়টি জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহিদুল্লাহকে অবহিত করা হয়েছে। খবর দেওয়া হয়েছে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনকেও। তারা পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।

রাজশাহী জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার ইফতেখায়ের আলম জানান, এএসআই আবুল কালাম জেলা জজ আদালতে কর্মরত ছিলেন। করোনার উপসর্গ দেখা দেওয়ায় গত ২২ জুন তার নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে তার শরীরে করোনা শনাক্ত হয়। এরপর বিভাগীয় পুলিশ হাসপাতালে রেখে তার চিকিৎসা চলছিলো। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় রামেক হাসপাতালের আইসিইউতে নেওয়া হয়। আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

তিনি আরও জানান, এএসআই আবুল কালামের গ্রামের বাড়ি বগুড়ার শেরপুর উপজেলায়। তিনি স্ত্রীকে নিয়ে রাজশাহী মহানগরীর তেরোখাদিয়া এলাকায় ভাড়া থাকতেন। তার ছয় বছর এবং ছয় মাসের দুই সন্তান রয়েছে। তার মৃত্যুতে পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) একেএম হাফিজ আক্তার ও জেলার পুলিশ সুপার মো. শহিদুল্লাহ গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। তারা শোকসন্তোপ্ত পরিবারের প্রতি জানিয়েছেন সমবেদনা। পাশাপাশি এএসআই আবুল কালামের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেছেন তারা।

এদিকে রাজশাহীতে করোনার উপসর্গ নিয়ে সাবেক এক ব্যাংক কর্মকর্তার (৬৩) মৃত্যু হয়েছে। তিনি অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেডের সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার ছিলেন। কয়েক বছর আগে তিনি অবসরে যান। রাজশাহী মহানগরীর হোসনিগঞ্জ এলাকায় তার বাড়ি। রামেক হাসপাতালের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুরে তিনি মারা যান।

উপপরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌস জানান, জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে বুধবার সকাল ১০টার দিকে মীর শওকত আলীকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হয়। এরপর তাকে করোনার সন্দেহভাজন রোগীদের জন্য নির্ধারিত ওয়ার্ডে রাখা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুরে তিনি মারা যান।

তিনি আরও জানান, মরদেহ থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তিনি করোনা আক্রান্ত ছিলেন কিনা তা নমুনা পরীক্ষার পরই বলা যাবে।

শওকতের বড় ভাই জানান, স্বাস্থ্যবিধি মেনে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছাসেবকরা তার ভাইয়ের মৃতদেহ দাফনের ব্যবস্থা করেছে।