মৃত আবুল কাশেম টেকনাফ সদর ইউনিয়ন মহেশখালীপাড়া এলাকার ফজল আহাম্মদের ছেলে।
এসব তথ্য নিশ্চিত করে টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ বলেন, বৃহস্পতিবার দিনগত রাতে রাতে কক্সবাজারের-টেকনাফ মেরিনড্রাইভ সড়ক সংলগ্ন মহেশখালীয়াপাড়া ফিশিংঘাট এলাকায় ইয়াবার চালান পাচার হচ্ছে এমন গোপন সংবাদে পুলিশের একটি দল সেখানে অভিযানে যায়। এসময় মাদক কারবারিরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছোড়ে। পরে মাদক কারবারিরা পিছু হটলে ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ওই যুবককে উদ্ধার করা হয়। তাকে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রেফার করেন। কক্সবাজারে নেওয়া হলে সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণ করেন।
এ প্রসঙ্গে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. নাসিম বলেন, গুলিবিদ্ধ ও জখম প্রাপ্ত চার জনকে নিয়ে আসে পুলিশ। এর মধ্যে কাশেম নামক ব্যক্তির শরীরে গুলির আঘাত ছিল। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজারে পাঠানো হয়। এছাড়া আহত পুলিশ সদস্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
ওসি বলেন, ঘটনাস্থল তল্লাশি করে ১০ হাজার ইয়াবা, একটি দেশীয় অস্ত্র ও ৫ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। লাশ কক্সবাজার মর্গে রয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সূত্রে জানা গেছে, এ বছর বিগত ছয় মাসে (৩ জুলাই) আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ৪৮ জন নিহত হয়েছে। তার মধ্যে ২৬ জন সক্রিয় ডাকাত ছিল। বাকিরা মাদক কারবারি।