প্রাইভেটকারের ধাক্কায় দুই পোশাক শ্রমিক নিহত

নিহতের স্বজনদের আহাজারিগাজীপুরে প্রাইভেটকারের ধাক্কায় একই পোশাক কারখানার দুই নারী শ্রমিক নিহত ও অপর একজন গুরুতর আহত হয়েছেন। শনিবার (৪ জুলাই) সকালে গাজীপুর সদর উপজেলার ভবানীপুরে (জেসন কারখানার সামনে) ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার পীরগাছা গ্রামের সুনীল চন্দ্র বর্মনের স্ত্রী শান্তনা রানী বর্মন (৩০) ও গাজীপুর সদর উপজেলার ভবানীপুর (পিঙ্গাইল) এলাকার রেখা রানী বর্মন (৩০)। আহত হয়েছেন শ্রীধাম চন্দ্র বর্মনের স্ত্রী মায়া রানী বর্মন (৩২)। তাকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হতাহতরা ভবানীপুর এলাকার পলমল গ্রুপের পোশাক কারখানার অপারেটর হিসেবে চাকরি করতেন।  

নাওজোর হাইওয়ে থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফরিদুজ্জামান জানান, সকাল সোয়া ৮টার দিকে ওই পোশাক শ্রমিকেরা কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন। ভবানীপুর এলাকায় (জেসন কারখানার সামনে)  ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক পার হওয়ার সময় ময়মনসিংহ থেকে ঢাকাগামী দ্রুতগতির একটি প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ওই তিন নারী শ্রমিককে জোরে ধাক্কা ও চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই শান্তনা রানী বর্মন নিহত হন। আহত হন রেখা রানী বর্মন ও মায়া রানী বর্মন। স্থানীয়রা আহত দুই জনকে উদ্ধার করে টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পথে রেখা রানী বর্মন মারা যান। গুরুতর আহত মায়া রানী বর্মনকে ওই হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর উন্নত চিকিৎসার ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়।প্রাইভেটকারের ধাক্কায় নিহত একজনের লাশ

খবর পেয়ে পুলিশ নিহতদের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মর্গে পাঠিয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে প্রাইভেটকারটি আটক করলেও চালক পালিয়ে গেছে।

টঙ্গী শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ইনচার্জ ডা. তারিক মাহমুদ জানান, রেখা রানী বর্মনকে মৃত অবস্থায় এ হাসপাতালে আনা হয়েছে। গুরুতর আহত মায়া রানী বর্মনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর এখান থেকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। দুর্ঘটনায় তার দুটি পা ভেঙ্গে গেছে এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত পেয়েছেন।