এ সময় ঢাকা থেকে অনলাইনে জুম অ্যাপের মাধ্যমে প্রধান অতিথি হিসেবে যুক্ত ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। তিনি বলেন, ‘করোনাকালে দেশের এই পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কোনও বিকল্প নেই। অনলাইনে কোরবানি পশু বিক্রির সুযোগ সৃষ্টি হওয়ায় অনেক তরুণ খামারি ন্যায্য মূল্যে তাদের গরু-ছাগল বিক্রি করতে পারবেন। করোনার ফলে সারা বিশ্বে একদিকে যেমন অনেক মানুষ কাজ হারাচ্ছে, তেমনি তথ্যপ্রযুক্তি-নির্ভর অনেক নতুন পেশা ও কর্মসংস্থানেরও সৃষ্টি হচ্ছে।’ উদ্যোগটির প্রশংসা করে মানুষ যাতে প্রতারিত না হয় সেজন্য জেলা প্রশাসন, প্রাণিসম্পদ অফিস এবং পুলিশ বিভাগের সমন্বয়ে অনলাইনে কোরবানি পশু ক্রয়-বিক্রয়ের কার্যক্রম তদারকির পরামর্শ দেন তিনি। এছাড়া প্রযুক্তিনির্ভর এ সেবাকে সাধারণ মানুষের কাছে জনপ্রিয় করতে ইউনিয়ন পর্যায়ের ডিজিটাল সেন্টারগুলোকে কাজে লাগানোরও আহ্বান জানান প্রতিমন্ত্রী।
Qurbani Hat Khulna অ্যাপ ছাড়াও qurbanihatkhulna.com ওয়েবসাইটেও পশু ক্রয়-বিক্রয়ের সুবিধা রয়েছে। খামারিরা অ্যাপটিতে ইতোমধ্যে ৩০ হাজারের বেশি কোরবানির পশু নিবন্ধিত করেছেন।
অনুষ্ঠানে জুম অ্যাপের মাধ্যমে আরও অংশগ্রহণ করেন– তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এনএম জিয়াউল আলম, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) মো. কামাল হোসেন, খুলনার বিভাগীয় কমিশনার ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন খুলনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন– অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার সরদার রকিবুল ইসলাম, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মো. ইকবাল হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) জিয়াউর রহমান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইউসুফ আলী, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা এসএম আউয়াল হক, খুলনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এসএম নজরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মামুন রেজা, খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগসহ অন্যান্য সরকারি দফতরের কর্মকর্তা ও খামারিরা।