সারিয়াকান্দিতে যমুনার পানি বেড়েই চলেছে

ঘরাবাড়ি ছাড়ছে মানুষপ্রবল বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলায় দ্বিতীয় দফা বন্যা দেখা দিয়েছে। যমুনা ও বাঙালি নদীতে প্রতিদিনই পানি বাড়ছে। এতে ঝুকিপূর্ণ বাঁধে বসবাসকারী বিপুল সংখ্যক পরিবার আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান জানান, বুধবার (১৫ জুলাই) বিকাল ৩টায় যমুনা নদীতে পানি বিপৎসীমার ৯৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। বাঙালিতে বিপৎসীমার ২৮.৩ সেন্টিমিটার নিচে রয়েছে।

ঘরবাড়ি ছেড়ে উঁচু স্থানে আশ্রয়এদিকে নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় চরাঞ্চল ও তীরবর্তী মানুষ সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। বন্যা দুর্গতরা বাড়িঘর ছেড়ে আসবাবপত্র ও গবাদিপশু নিয়ে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ বা উঁচু স্থানে আশ্রয় নিচ্ছেন। আশ্রিতদের খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির অভাবে দেখা দিয়েছে। মাঠে ডুবে থাকায় গোখাদ্যের চরম সংকট দেখা দিয়েছে। কুঁড়িপাড়া চরের কৃষক চেনু প্রামাণিক, জালাল উদ্দিন, ছালজার প্রামাণিক ও অন্যরা জানান, গত কয়েকদিন ধরে বানের পানি বাড়িতে ঢুকে পড়ায় গরু-ছাগল নিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। নিজেদের ও গবাদি পশুর খাবার সংকট দেখা দিয়েছে।

সরেজমিন দেখা গেছে, যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সারিয়াকান্দি উপজেলার কর্ণিবাড়ি ইউনিয়ন থেকে কামালপুর ইউনিয়নের গোদাখালি পর্যন্ত ৮ কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের বিভিন্ন পয়েন্টে পানি ঢুকছে। এতে বাঁধটি আস্তে আস্তে দুর্বল হয়ে পড়ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঠিকাদার বাঁধ রক্ষায় পাশ দিয়ে পাইলিং ও বালুভর্তি গানিব্যাগ ফেলছেন।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘নদীতে আরও দু-তিন দিন পানি বাড়তে পারে। এরপর কমতে শুরু করবে। বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের চার-পঁচটি পয়েন্টে পানি চুইছে। সেগুলো মেরামত করা হচ্ছে। এছাড়া ৮ কিলোমিটার বাঁধটি মনিটরিং করা হচ্ছে। তিনি দাবি করেন, বাঁধ এখনও ঝুঁকিমুক্ত আছে।