প্রয়াত হুমায়ূন আহমেদ বাবার স্মৃতি রক্ষার্থে ২০০৬ সালে তিন একর জমিতে নির্মাণ করেন শহীদ স্মৃতি বিদ্যাপীঠ। বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠদান চলছে। বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক আসাদুজ্জামান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমাদের প্রিয় হুমায়ূন আহমেদ স্যার এই এলাকার অবহেলিত মানুষের শিক্ষা বিস্তারে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত করেন। স্যার এই প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নের জন্য সব সময় ভাবতেন। কিন্তু স্যার আজ নেই, এই দিনটি আসলেই তার নানা স্মৃতি আমাদের কষ্ট দেয়। তার আত্মার মাগফিরাতের জন্য আমরা দোয়া করি। আজ স্যারের প্রিয় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে কোরআনখানি, দোয়া মাহফিলসহ বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে।’
অনুষ্ঠানে শ্যামলেন্দু পাল হুমায়ূন আহমেদের বাংলা সাহিত্যে যে অবদানের কথা স্মরণ করে তার স্মৃতি রক্ষার্থে জন্মভূমি নেত্রকোনায় একটি গবেষণাগার তৈরির দাবি জানান। তিনি বলেন, ‘এই গবেষণাগার তৈরি হলে নতুন প্রজন্ম হুমায়ূন আহমেদ এবং বাংলা সাহিত্যে তার অবদান সম্পর্কে জানতে পারবে।’
নেত্রকোনা সাহিত্য সমাজের সভাপতি, কবি অধ্যাপক কামরুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ‘নতুন প্রজন্ম মোবাইল ফোনে ডুবে না থেকে বই পড়লে জ্ঞান অর্জন করতে পারবে।’ তিনি তরুণ প্রজন্মকে হুমায়ূন আহমেদের বই পড়ার পরামর্শ দেন।
মুক্তিযোদ্ধা ও সাংবাদিক হায়দার জাহান চৌধুরী বলেন, ‘হুমায়ূন আহমেদের মতো কথাসাহিত্যিক নেত্রকোনায় জন্মগ্রহণ করায় আমরা গর্বিত।’ তিনি নেত্রকোনার সর্বস্তরের মানুষকে হুমায়ূন আহমেদকে স্মরণ করার আহ্বান জানান।
২০১২ সালের ১৯ জুলাই হুমায়ূন আহমেদ মারা যান।