হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হবে হেফাজত আমিরকে

আল্লামা আহমদ শফীহেফাজত ইসলামের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফি ভালো আছেন। তাকে দুয়েকদিনের মধ্যেই হাসপাতাল থেকে রিলিজ দেওয়া হবে। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম হুমায়ুন কবির বাংলা ট্রিবিউনকে এই তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, 'হেফাজত আমির বর্তমানে সুস্থ আছেন। বার্ধক্যজনিত শারীরিক দুর্বলতা ছাড়া উনার আর কোনও সমস্যা নেই। তাকে শিগগিরই হাসপাতাল থেকে ডিসচার্জ করে দেবো।’

এর আগে বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতা নিয়ে মঙ্গলবার (২১ জুলাই) দুপুরে তাকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ভর্তির পরপরই তাকে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) নেওয়া হয়।

এক প্রশ্নের জবাবে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম হুমায়ুন কবির জানান, সুস্থ হলেও এখনও উনি আইসিইউতেই আছেন। করোনাভাইরাসের কারণে সতর্কতার অংশ হিসেবে আমরা উনাকে আইসিইউতে রেখেছি।

আজ বৃহস্পতিবার উনাকে ছেড়ে দেওয়া হবে কিনা জানতে চাইলে সহকারী পরিচালক আফতাবুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘উনার অবস্থা  আগের চেয়ে অনেক ইমপ্রুভ হয়েছে। চাইলেই উনি এখন মাদ্রাসায় ফিরে যেতে পারবেন। আজ তাকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হবে কিনা এটি এখনও নিশ্চিত নয়। দুপুরের পর এটি নিশ্চিত করে বলা যাবে।’

৯৫ বছর বয়সী আল্লামা আহমদ শফী দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত দুর্বলতার পাশাপাশি ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন। শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে হেফাজত আমিরকে গত এক বছরে বেশ কয়েকবার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

সর্বশেষ গত ৭ জুন গুরুতর অসুস্থ হয়ে চট্টগ্রাম মেডিক্যালে চিকিৎসা নিয়েছিলেন তিনি। আইসিইউতে সপ্তাহখানেক চিকিৎসা নিয়ে ১৬ জুন তিনি হাটহাজারি দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম মাদ্রাসায় ফিরে যান।

এর আগে গত ১১ এপ্রিল বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে বমি, মাথাব্যথা, শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় হেফাজত আমিরকে চট্টগ্রামের প্রবর্তক মোড়ের সিএসসিআর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে ১৪ এপ্রিল দুপুরে চট্টগ্রামের এমএ আজিজ স্টেডিয়াম থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স যোগে তাকে ঢাকা নিয়ে যাওয়া হয়। পরে করোনা পরীক্ষা করানো হলে রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। ২৬ মে হেফাজত আমিরকে চট্টগ্রাম নিয়ে আসা হয়।