মাস্ক নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ার অভিযোগে চিকিৎসককে শোকজ

ঝালকাঠিফেসবুকে এন-৯৫ মাস্ক নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ার অভিযোগে ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার দপদপিয়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সহকারী সার্জন ডা. টিপু সুলতানকে শোকজ নোটিশ দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার (২৪ জুলাই) উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শিউলী পারভীন তাকে এ নোটিশ দিয়েছেন।

নোটিশে বলা হয়েছে, ‘আপনি প্রায়ই সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগের কার্যক্রমকে ভিন্নরূপে উপস্থাপন ও উপহাস করে ফেসবুকে পোস্ট করেন।  এটি নাগরিকত্ব ও সরকারি কর্মচারীদের আচরণবিধি লঙ্ঘন। যা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। আপনি সরকারি কর্মচারীদের (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধি-২০১ ২০১৮ লঙ্ঘন করেছেন। ’

নলছিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক কর্মকর্তা ডা. মুনিবুর রহমান জুয়েল বলেন, ‘তিনি একজন সরকারি চিকিৎসক হিসেবে বিধি লঙ্ঘন করেছেন। কিছুদিন আগে তিনি নিজেও করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। তাই হয়তো আবেগে এ কথাগুলো বলেছিলেন।  ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। সরকারি চাকরি বিধিমালায় সরকারের কোনও কার্যক্রম নিয়ে বিভ্রান্তি বা আপত্তিকর কিছু বলতে পারবেন না। তিনি তার ভুল বুঝতে পেরেছেন। তিনি লিখিত মুচলেকা দিতে রাজি হয়েছেন।’

বাংলাদেশ ডাক্তার ফাউন্ডেশনের প্রধান প্রশাসক ডা. নিরুপম দাস বলেন, ‘ডা. সুলতানকে দণ্ডিত করা হয়েছে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধি ২০১/২০১৮ অনুযায়ী।  সেখানে যেসব কারণে একজন সরকারি কর্মচারীকে দণ্ড দেওয়ার কথা বলা হয়েছে তা  হলো– দায়িত্বে অবহেলা, আদেশ অগ্রাহ্য করা, অসততা, মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করা, দুর্নীতি, নির্বাসন ও সন্ত্রাসবাদ। এর কোনও কিছুই ডা. সুলতান করেননি। আমরা ডা. সুলতানের ফেসবুকে সরকারের বিরুদ্ধে কোনও কর্মকাণ্ড দেখিনি।  এ জাতীয় কিছু শেয়ার করতে বিধিমালা থাকতে পারে। তবে মত প্রকাশের অধিকার সবার রয়েছে।’

অভিযোগ প্রসঙ্গে ডা. টিপু সুলতান বলেন, ‘মার্চ মাস থেকে কোনও ছুটি পাইনি। হাসপাতালে করোনা ওয়ার্ড থেকে সব জায়গায় দায়িত্ব পালন করছি। এখন পর্যন্ত আমরা সরকারিভাবে এন-৯৫ মাস্ক পাইনি।  আমি নিজেও করোনা আক্রান্ত হয়ে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। আমি ফেসবুকে এ বিষয়ে লিখিনি। আমি নিজেও এখন বিব্রত বোধ করছি।’