লালমনিরহাটে সাংবাদিকসহ আক্রান্ত আরও ১৭

করোনাভাইরাস (গ্রাফিক্স: মারুফ রেহান)

লালমনিরহাটে ভয়াবহভাবে করোনাভাইরাসের বিস্তৃতি ঘটছে। রবিবারও জেলায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৭ জন। এরমধ্যে সাংবাদিক, নার্সসহ বিভিন্ন পেশার লোকজন রয়েছেন।

২৬ জুলাই (রবিবার) রাতে মোট ২৮টি নমুনার রিপোর্ট হাতে পায় লালমনিরহাট সিভিল সার্জন কার্যালয়। এরমধ্যে লালমনিরহাট সদর উপজেলার ২৬টি রিপোর্টের মধ্যে ১৭ জনের প্রতিবেদনে পজিটিভ রিপোর্ট আসে। অপর দুইটি পাটগ্রাম উপজেলার, তবে ওই দুইটি রিপোর্টে নেগেটিভ ফলাফল এসেছে।

রবিবার রাতে (২৬ জুলাই) এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন লালমনিরহাট সিভিল সার্জন ডা. নির্মলেন্দু রায়।  

তিনি জানান, আক্রান্তদের মধ্যে সিনিয়র সাংবাদিক ড. এসএম শফিকুল ইসলাম কানু (৬৩) রয়েছেন। তিনি জেলা থেকে প্রকাশিত লালমনিরহাট বার্তার প্রকাশক ও সম্পাদক। এছাড়াও তিনি দৈনিক ইত্তেফাক ও বাংলাদেশ টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি।

এছাড়া লালমনিরহাট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি এবং জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি সিরাজুল হক (৬৫)  ও লালমনিরহাট ১০০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স সহ মোট ১৭ জন করোনা ভাইরাস পজেটিভ শনাক্ত হয়েছে।

এছাড়াও আক্রান্তদের মধ্যে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স মুন্নী খাতুন(৩৪), একই হাসপাতালের রেকর্ড কিপার হোমায়রা বেগম(৩০) ও মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট (ল্যাব) জাহিদুল ইসলাম (৫৫) রয়েছেন।

লালমনিরহাট সিভিল সার্জন কার্যালয়ের পরিসংখ্যান কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান জানান, এখন পর্যন্ত জেলার পাটগ্রাম উপজেলায় ৯২ জন, হাতিবান্ধা উপজেলায় ৪৪ জন, কালীগঞ্জ উপজেলায় ৩৪ জন, আদিতমারী উপজেলায় ২৭ জন এবং সদর উপজেলায় ১৪৮ জন করোনাভাইরাস পজিটিভ হয়েছেন। জেলায় এ পর্যন্ত করোনায় তিন জন মারা গেছেন। তারা হলেন- হাতীবান্ধার কেরামত আলী (৪৯), পাটগ্রামের শামসুল আলম প্রধান দুলাল (৫৩) এবং লালমনিরহাট সদরে নাজনীন হক (৫৪)। রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া নাজনীন হক জেলা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি সিরাজুল হকের স্ত্রী। 

লালমনিরহাট সিভিল সার্জন ডা. নির্মলেন্দু রায় বলেন, জেলায় সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য সাধারণ মানুষের মাঝে সচেতনতা বাড়ানোর ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি বাস্তবায়নে পুলিশ ও জেলা প্রশাসন কাজ করছে।

লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবু জাফর বলেন, সাধারণ মানুষকে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলাচল করতে অনুরোধ করা হচ্ছে। আইনের প্রয়োগে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে। এছাড়াও সচেতনতা তৈরিতে কাজ করা হচ্ছে।