নিখোঁজ লতিফুলের বাড়ি জেলার সদর উপজেলার ধাক্কামারা ইউনিয়নের পশ্চিম মীরগড় এলাকায়। তিনি ওই এলাকার মৃত তজমদ্দিনের ছেলে।
ধাক্কামারা ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য মো. জাহের আলী জানান, বিকালে স্বামী-স্ত্রী ভারতীয় সীমান্তের কাছে ঘাস কাটতে যান। সে সময় ভারতীয় চা বাগানের কর্মীরা তাদের গুলাল ও দা নিয়ে ধাওয়া করে। তখন প্রাণভয়ে তারা করতোয়া নদীতে ঝাঁপ দেন। নদীতে পানি ও স্রোত বেশি থাকায় লতিফুল ওরফে কমলেশ নিখোঁজ হন। এলাকাবাসী তার স্ত্রীকে নদী থেকে উদ্ধার করেন। বর্তমানে তিনি বাসায় সুস্থ আছেন।
পঞ্চগড় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার বলেন, ‘করতোয়া নদীর ওই অংশটি ভারতীয় এলাকা হওয়ায় আমরা উদ্ধার অভিযান শুরু করতে পারিনি।’
পঞ্চগড় ১৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক খন্দকার আনিসুর রহমান বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা বিভিন্ন রকম তথ্য পাচ্ছি। কেউ বলছেন, তারা গোসল করতে গিয়ে একজন নিখোঁজ হয়েছে। আবার কেউ বলছেন, ঘাস কাটতে গিয়ে ভারতীয়দের তাড়া খেয়ে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে নিখোঁজ হয়েছেন। তবে সেখানে কী ঘটেছিল আমরা এখনও নিশ্চিত নই। আমাদের সদস্যরা প্রকৃত ঘটনা জানার চেষ্টা করছে। শিগগিরই আমরা প্রকৃত ঘটনা জানতে পারবো।’