র্যাব-৬ এর কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফিরোজ এ ঘটনা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, কামাল তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী। তার নামে হত্যা, নারী নির্যাতন, মাদকসহ বিভিন্ন আইনে ২৫টি মামলা রয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, গুলি, ডেগার, ৫০০ পিস ইয়াবা, নগদ ৬৬ হাজার টাকা জব্দ করা হয়েছে।
তিনি জানান, গোপন সংবাদ পেয়ে র্যাব সদস্যরা রামপাল এলাকায় অভিযান পরিচালনা করছিল। ভোররাতে জিরো পয়েন্ট এলাকায় ঘিরে ধরলে কামাল র্যাব সদস্যদের ওপর গুলি চালায়। র্যাব সদস্যরাও পাল্টা গুলি ছোড়ে। এক পর্যায়ে কামালে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ধরা হয়। তাকে দ্রুত রামপাল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ বন্দুকযুদ্ধের সময় র্যাবের দুই সদস্য আহত হন বলেও তিনি জানান। তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সস্পাদক কামরুজ্জামান জামাল বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, এই কামাল আওয়ামী লীগের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে অংশ নিতো। তবে দলে তার কোনও পদ-পদবী ছিল না।
খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশীদ বলেন, ‘দলের মিটিং-মিছিলে তো অনেকেই অংশ নেয়। অংশ নিলেই তো তারা আওয়ামী লীগের হয়ে যায় না। আর কামাল আওয়ামী লীগের কোনও পদ-পদবীতে ছিল না কখনও।’