জেলার বিভিন্ন পশুর হাটের প্রবেশমুখে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা, জীবাণুনাশক চেম্বার স্থাপন করা হয়। হাটের অভ্যন্তরে ক্রেতা-বিক্রেতা এবং পশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান।
জেলার পৌরসভার আওতায় এম সাইফুর রহমান স্টেডিয়ামের বাইরে পশুর হাটে ক্রেতাদের ভিড় দেখা গেছে। এছাড়া শ্রীমঙ্গল পশুর হাট, কমলগঞ্জের আদমপুর ও শমশেরনগর, রাজনগর কুলাউড়া, বড়লেখা ও জুড়ী উপজেলায় হাট বসেছে।
মৌলভীবাজার পৌর মেয়র ফজলুর রহমান জানান, করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) কারণে আসন্ন কোরবানির ঈদে পশুর হাটে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে কঠোর অবস্থান নেওয়া হয়।
বেপারী শিপন আহমদ বলেন, দুটি গরু নিয়ে পশুর হাট নিয়ে গিয়েছিলাম। শেষ সময়ে ক্রেতা থাকলেও ন্যায্যমূল্য পাচ্ছি না।
মৌলভীবাজার পাগুলিয়া এলাকা থেকে আসা রিপন মিয়া বলেন, ‘হাটের অবস্থা তেমন বালা নায়। আমার ঘরর গরু, অফেক্ষায় আছি বালা দাম ফাইলে বেচিলাইমু।’
জেলার নাজিরাবাদ এলাকা থেকে আসা সাদিক মিয়া হাটে পাঁচটি গরু তুলেছেন। এর মধ্যে লোকসান দিয়ে মাত্র একটি বিক্রি করতে পেরেছেন। কী কারণে তিনি লোকসানে বিক্রি করলেন জানতে চাইলে বলেন, করোনার কারণে মানুষ অভাবে আছে। সবই কম-বেশি রুজি-রোজগার করতে পারে না। বাজারের অবস্থাও ভালো না, সব গরু বিক্রি করতে পারবো বলে মনে হয় না।
জেলা প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্রে জানা যায়, জেলায় ৫০ হাজার ৯৭২টি গরু-মহিষ ও ১৯ হাজার ৩২৮টি ছাগল-ভেড়া কোরবানির জন্য প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে। কিন্তু জেলায় মোট গবাদি পশুর চাহিদা রয়েছে প্রায় ৯৫ হাজারেরও বেশি। এছাড়া ফেসবুক পেজের মাধ্যমে স্মার্ট হাটে কোরবানির পশু বিক্রি হয়েছে বলে জানা গেছে।