মুক্তিযোদ্ধা শেখ আনোয়ার হোসেন এই প্রতিবেদককে বলেন, ছোটবেলা থেকেই বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাসতেন তিনি। বঙ্গবন্ধু যখন চিতলমারী বা বাগেরহাটে আসতেন, তখন তিনি তার সঙ্গেই থাকতেন। ১৯৬৯ সালে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় বঙ্গবন্ধু মুক্তির পর তার সঙ্গে দেখা করেন। শেখ আনোয়ার হোসেন ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে আটক করে পশ্চিম পাকিস্তান নিয়ে গেলে চিন্তিত হয়ে পড়েন আনোয়ার হোসেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর মুক্তির জন্য একটি গরু কোরবানির মানত করেন।
আনোয়ার হোসেন বলেন, স্বাধীনতার পর তিনি শিক্ষকতাকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করেন। নানা কারণে এতদিন সেই কোরবানি দেওয়া সম্ভব হয়নি। এবার সন্তানদের কাছে বঙ্গবন্ধুর নামে কোরবানি দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। এরপর সন্তানরা মিলে এক লাখ ৩১ হাজার টাকায় স্থানীয় বাজার থেকে একটি গরু কিনে এনেছেন।
শেখ আনোয়ার হোসেন আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু পরিবারের প্রতি ভালোবাসার কারণে তিনি তার বড় ছেলের নাম রেখেছেন কামাল, মেজো ছেলের নাম রেখেছেন জামাল।
দীর্ঘদিন পর হলেও বঙ্গবন্ধুর নামে মানত করা কোরবানি দিতে পেরে খুশি মুক্তিযোদ্ধা শেখ আনোয়ার হোসেন।