এবারও হচ্ছে সমাজবদ্ধ কোরবানি

সমাজবদ্ধ কোরবানিমুসলিম সম্প্রদায়ের অন্যতম ধর্মীয় বিধান ঈদুল আজহায় পশু কোরবানি। মানুষের সামর্থ্য অনুযায়ী ঈদুল আজহার দিন তাদের কেনা বা পালিত গরু-ছাগল কোরবানি করেন। কুষ্টিয়া জেলাতেও এর ব্যতিক্রম নয়। তবে কুষ্টিয়ায় পশু কোরবানির রয়েছে বহু পুরনো ঐতিহ্য। এ জেলায় বহু বছর ধরে চলছে সমাজবদ্ধ কোরবানি।সমাজবদ্ধ কোরবানি

শনিবার (১আগস্ট) ঈদুল আজহার নামাজ শেষে জেলার বিভিন্ন সমাজে চলছে পশু কোরবানি। অনেকে তাদের গরু-ছাগল সমাজে নিয়ে এসেছেন কোরবানি করতে। এসব সমাজের বেশিরভাগ পেশাদার কসাই ছাড়াই নিজেরা তাদের কোরবানির অনুষ্ঠানিকতা সারছেন।

মিরপুর উপজেলার সুলতানপুর গ্রামের সমাজপতি আবদুল কুদ্দুস শেখ জানান, এ বছর করোনার কারণে সমাজে কিছুটা কম পশু কোরবানি হয়েছে। আমাদের সমাজে ছয়টি গরু এবং তিনটি ছাগল কোরবানি করা হয়েছে।সমাজবদ্ধ কোরবানি

তিনি আরও জানান, সমাজবদ্ধ কোরবানি আমাদের বহু পুরনো ঐতিহ্য। বর্তমানে আমাদের সমাজে প্রায় একশ জন সদস্য রয়েছেন।

ডাক্তার মাহমুদুন নবী মিঠু জানান, ধর্মীয় বিধান মেনে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য সমাজে কোরবানি করা হয়। কোরবানি শেষে সমাজের অসচ্ছলদের মাঝে মাংস বিলি করা হয়। আমাদের সমাজে বহুদিন ধরে একই রেওয়াজ চলে আসছে।সমাজবদ্ধ কোরবানি

স্থানীয় সুলতানপুর সিদ্দিকিয়া সিনিয়র মাদ্রাসার শিক্ষক শাহ জালাল জানান, কোরবানি মানুষকে ত্যাগের শিক্ষা দেয়। আমরা এই কোরবানির মাধ্যমে যেন সবাই ত্যাগের শিক্ষা নিতে পারি। কোরবানির মাধ্যমে যেন আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারি এটাই আমাদের সবার প্রত্যাশা।
আরও পড়ুন- 
করোনা ও দুর্যোগ থেকে মুক্তির প্রার্থনা ঈদের জামাতে