পুলিশের ধাওয়ায় নদীতে ঝাঁপ, পরদিন মিললো লাশ

বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে লাশ রেখে অবরোধ করলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে বগুড়ার শিবগঞ্জে পুলিশের ধাওয়া খেয়ে করতোয়া নদীতে ঝাঁপ দিয়ে মোস্তাফিজার রহমান মাসুম (৩৫) নামে এক মাদক ব্যবসায়ীর মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার (৩ আগস্ট) দুপুরে এলাকাবাসী নদী থেকে তার লাশ উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে তারা লাশ রেখে অবরোধ করেন বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

জানা গেছে, মোস্তাফিজার রহমান মাসুম বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার রায়নগর ইউনিয়নের মহাস্থান বারিদারপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ওই গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য বজলুর রহমানের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, মাসুমের বিরুদ্ধে শিবগঞ্জ থানায় মাদকের সাতটি মামলার মধ্যে দুটির ওয়ারেন্ট ছিল। রবিবার বিকাল ৬টার দিকে সাদা পোশাকে কয়েকজন পুলিশ মহাস্থান প্রতাবাজু গ্রামে মাদকবিরোধী অভিযান চালায়। পুলিশের তাড়া খেয়ে ও গ্রেফতারের ভয়ে মাসুম পাশে করতোয়া নদীতে ঝাঁপ দেন। পুলিশ তাকে না পেয়ে ফিরে যায়। এরপর এলাকাবাসী ও শিবগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা নদীতে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পাননি।

এরপর সোমবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে এলাকাবাসী করতোয়া নদী থেকে মাসুমের লাশ উদ্ধার করেন। পরে তারা বিচারের দাবিতে মহাস্থান হাট এলাকায় সড়ক অবরোধ করেন। প্রায় ১৫ মিনিট পর শিবগঞ্জ থানার পুলিশ এলে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।

সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী এবং সদর থানার ওসি হুমায়ুন কবির জানান, মাসুমের বিরুদ্ধে শিবগঞ্জ থানায় মাদকের সাতটি মামলা রয়েছে। রবিবার বিকালে তিনি পুলিশকে দেখে গ্রেফতার এড়াতে নদীতে ঝাঁপ দিয়েছিলেন। সোমবার দুপুরে লাশ উদ্ধার হলে জনগণ মহাসড়কে অবরোধ করেন। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে।