মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৭ জুলাই প্রধান শিক্ষক উত্তম কুমার সাহা ভুক্তভোগী ওই ছাত্রকে এক হাজার টাকার উপবৃত্তি দেওয়ার কথা বলে স্কুলে ডেকে নেন। এরপর তিনি ওই ছাত্রকে বিদ্যালয়ের পাশে হলুদের ক্ষেতে নিয়ে গিয়ে বলাৎকার করেন। পরে শিক্ষার্থী ঘটনাটি বাবা-মাকে জানায়। পরে ওই ছাত্র অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় কোনও আইনগত ব্যবস্থা না নিতে প্রধান শিক্ষক ওই ছাত্রের অভিভাবকের ওপর বিভিন্নভাবে চাপ দিতে থাকে।
অভিযুক্ত উত্তম কুমার সাহা বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, ওই ছাত্র তার প্রতিবেশী। গত ২৭ জুলাই দুপুরে বৃষ্টির মধ্যে ওই ছাত্রকে কোলে করে তিনি মাছ ধরতে নিয়ে যাচ্ছিলেন। গ্রামের কিছু পূর্বশত্রু এটি দেখে ফেলে। শত্রুতার জের ধরেই ঘটনাটি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করে তার নামে মিথ্যা অপবাদ দেওয়া হচ্ছে। এ ঘটনায় তিনি ওই ছাত্রের বাবা মায়ের কাছে ক্ষমাও চেয়েছেন বলে জানান।
বিরামপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মিথুন সরকার জানান, শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রকে বলাৎকারের ঘটনা অত্যন্ত ন্যক্কারজনক। অভিযোগ পাওয়ামাত্রই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
নবাবগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম জানান, ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ওসি জানান, পুলিশ আসামিকে ধরতে অভিযান চালাচ্ছে।