হিলিতে চামড়া কিনে বিপাকে আড়তদাররা

 

হিলির আড়তে সংগৃহীত চামড়াচামড়া বিক্রির আগের টাকা না পেলেও ধার-দেনা করে এবার চামড়া কিনেছিলেন হিলির আড়তদাররা। তবে এখন তা বিক্রি করতে না পারায় বিপাকে পড়েছেন তারা। এখন পর্যন্ত কেউ চামড়া নিতে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি। ট্যানারি মালিকরা সরকার নির্ধারিত মূল্যে চামড়া কিনছেন না, মূল্য পুনঃনির্ধারনের পর তারা চামড়া কিনবেন।

হিলির চামড়া পট্টির আড়তদার আমজাদ হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ট্যানারি মালিকদের কাছে গতবছরের কয়েক লাখ টাকা আটকা রয়েছে। এর পরেও আমরা বিভিন্ন এনজিওসহ মানুষের নিকট থেকে ধার দেনা করে চামড়া ক্রয় করে তা লবন দিয়ে সংরক্ষণ করেছি। কিন্তু আমরা নিচে ২০০ টাকা থেকে শুরু করে উপরে ৬০০ টাকা পর্যন্ত দরে গরুর চামড়া কিনে এখন বিপাকের মধ্যে পড়েছি। খরচ দিয়ে আমাদের প্রকারভেদে চামড়া ভেদে দাম পড়েছে ৫০০-৭০০ টাকা। কিন্তু এখন বিক্রি করতে গেলে অর্ধেক দাম বলছে। এর উপর কোন ট্যানারি মালিক বা মহাজন কেউ এখন পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন না।

হিলির আড়তে সংগৃহীত চামড়াতিনি আরও বলেন, আমরা ট্যানারি মালিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তারা সরকার যে মূল্য নির্ধারণ করেছে, ওই রেটে সরকারের কাছে চামড়া বিক্রি করেন। ওই নির্ধারিত মূল্যে আমাদের চামড়া কিনতে পারবে না, যদি মূল্য পুনঃনির্ধারণ হয় তারপর চামড়া কিনবে। কিন্তু এখন আমরা এই চামড়া নিয়ে কী করবো, চামড়াতো কিনে ফেলেছি। কিন্তু বিক্রি করবো কোথায়?

তিনি জানান, ইতোমধ্যে তার এক হাজারের মতো ছাগলের চামড়া পচে গেছে। সরকার কোনও ব্যবস্থা না নিলে বেড় লোকসানের মুখে পড়তে হবে বলে জানান তিনি।