এদিকে পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ছেলের মৃত্যুতে বাবা-মা ও স্বজনেরা কান্নায় মূর্ছা যাচ্ছেন। তারা রনির মরদেহ দেশের মাটিতে ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়েছেন।
স্বজনেরা জানান, গত ২০১৪ সালের ৯ মার্চ পরিবারের সচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে লেবাননে পাড়ি জমায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের ভাদেশ্বরা গ্রামের তাজুল ইসলামের বড় ছেলে মেহেদী হাসান রনি (২৫)। লেবাননের রাজধানী বৈরুতের একটি শপিং মলের সুপারশপের বিক্রয় কর্মী হিসেবে কর্মরত ছিলেন তিনি। বিদেশের মাটিতে পা রাখার পর আর দেশে আসেননি। এ বছর ঈদে দেশে আসার কথা থাকলেও করোনার প্রভাবের কারণে আর দেশে আসা সম্ভব হয়নি। এর মধ্যে বোমা হামলায় নিহত হবার খবরে রনির বাড়িতে চলছে শোকের মাতম।
রনির ছোটবোন জেসমিন আক্তার হ্যাপী বলেন, ভাই পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন। তার মৃত্যুতে পরিবারের সদস্যরা অসহায় হয়ে পড়েছেন।
ঘটনার খবর পেয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পঙ্কজ বড়ুয়া ভাদেশ্বরা গ্রামের প্রবাসী রনির বাড়ি পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি পরিবারের সদস্যদের সান্ত্বনা দেন। পাশাপাশি তাৎক্ষণিক ২০ হাজার টাকা সহায়তার ঘোষণা দেন।
তাজুল ইসলামের পরিবারে চার সন্তানের মধ্যে তিন ছেলে ও এক মেয়ের মধ্যে রনি সবার বড় ছিলেন।