সরকার দুর্নীতিকে সংরক্ষণ করতে চায়: রিজভী

রিজভী‘স্বাস্থ্য খাতে ভয়ঙ্কর দুর্নীতি হচ্ছে। দেশের সব খাতের মতো এ খাতটিও ভয়ঙ্কর দুর্নীতির কারণে ধ্বংস হয়ে গেছে। এর মধ্যে সরকারের এমন সার্কুলার জারির মাধ্যমে প্রমাণিত হলো যে সরকার দুর্নীতিকে সংরক্ষণ করতে চায়, দুর্নীতিকে প্রোটেকশন দিতে চায়।’ সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান পরিচালনা করতে হলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের পরামর্শ নেওয়ার নির্দেশনা দিয়ে জারির পর এক প্রতিক্রিয়ায় এসব কথা বলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ।

বৃহস্পতিবার (৬ আগস্ট) কুড়িগ্রাম জেলা শহরের সরদারপাড়া এলাকায় নিজ বাসভবন থেকে দেওয়া এক ভার্চুয়াল বক্তব্যে তিনি এমন প্রতিক্রিয়া জানান। ঈদ পরবর্তী সফর ও বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শনে রিজভী বর্তমানে কুড়িগ্রামে নিজ এলাকায় অবস্থান করছেন।

রিজভী বলেন, ‘স্বাস্থ্যখাতে জালিয়াতির যে সিন্ডিকেট সে সিন্ডিকেটের অধিকাংশই ক্ষমতাসীন দলের লোকজন। তাদের প্রোটেকশন দেওয়ার জন্যই এই পরিপত্র জারি করা হয়েছে। সামনের দিনগুলোতে স্বাস্থ্য সেবার ক্ষেত্রে আরও ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি হবে, মানুষ এই খাত থেকে কোনও ধরনের সেবাই পাবে না। অর্থাৎ করোনার যে সংক্রমণ এখন ছড়িয়ে গেছে, তাতে আক্রান্ত রোগীদের পরিণতি হবে অত্যন্ত ভয়াবহ। তারই ইঙ্গিত মিলছে এই সরকারি পরিপত্র ঘোষণার মাধ্যমে।’

করোনা এবং বন্যা মোকবিলায় সরকার পুরোপুরি ব্যর্থ বলেও দাবি করেন বিএনপির এই নেতা। বানভাসি মানুষ খাদ্য ও বাসস্থানের অভাবে মানবেতর জীবন যাপন করছে উল্লেখ করে রিজভী বলেন, ‘ভয়াবহ ও দীর্ঘস্থায়ী বন্যার কারণে কুড়িগ্রামের বিভিন্ন এলাকা যেভাবে প্লাবিত হয়েছে, তাতে মানুষের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সেক্ষেত্রে বন্যা মোকাবিলায় সরকারের যে নানামুখী পদক্ষেপ নেওয়ার কথা সে ধরনের পদক্ষেপ এখানে দেখা যায়নি।’

বন্যা ও করোনা মোকাবিলায় স্থানীয় মানুষদের সচেতন করার জন্য গণমাধ্যমের ভূমিকা রয়েছে এবং স্থানীয় সংবাদকর্মীরা সে ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন উল্লেখ করে করোনা ও বন্যায় বর্তমান সংকটজনক পরিস্থিতিতে মানুষ যে মানবেতর জীবন যাপন করছে, সব বাধা ও চাপ উপেক্ষা করে তা সংবাদ মাধ্যমে তুলে ধরার আহ্বান জানান রিজভী।