রাঙামাটিতে জেলা জজ ও সদর ইউএনও করোনা পজিটিভ

 

করোনাভাইরাস (গ্রাফিক্স: মারুফ রেহান)



রাঙামাটিতে সদর ইউএনওসহ নতুন করে আরও ২০ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়াও সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. নুরুল ইসলাম (মানিক) করোনা পজেটিভ হয়েছেন। এর ফলে রাঙামাটিতে শনাক্ত বেড়ে দাঁড়ালো ৬৭৭জনে। বৃহস্পতিবার শনাক্ত হওয়াদের ১৯ জনই রাঙামাটি শহরের এবং বাকি ১ জন কাপ্তাই উপজেলার।

বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের ল্যাব থেকে আসা রিপোর্টে এই তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে জেলা ও দায়রা জজের পরীক্ষা রাঙামাটিতে হয়নি।

রাঙামাটি সিভিল সার্জন অফিসের করোনা বিষয়ক ফোকাল পার্সন ডা. মোস্তফা কামাল জানিয়েছেন, রাঙামাটির সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ ২০ জন নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা শনাক্ত হলো ৬৭৭ জনের, এদের মধ্যে সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছেন ৫৬২ জন। মারা গেছেন ১০ জন।

এদিকে রাঙামাটির সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. নুরুল ইসলাম (মানিক) করোনা পজেটিভ হয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাঙামাটি জেলা আইনজীবি সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট উথাইমং মারমা। তিনি আরও জানান, আমরা সন্ধ্যায় বিষয়টি জেনেছি এবং বর্তমানে তিনি চট্টগ্রামে নিজ বাসায় থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

নতুন ১৯ জন শহর রাঙামাটি শহরে মোট শনাক্ত হলো ৩৫৪ জন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ কাপ্তাই উপজেলায় ১০৩ জন। এছাড়া বাঘাইছড়িতে ১৫ জন, লংগদুতে ১৫ জন, বরকলে ৫ জন, জুরাছড়িতে ২৩ জন, বিলাইছড়িতে ১৩ জন, রাজস্থলীতে ১০ জন, কাউখালীতে ৩০ জন এবং নানিয়ারচরে ৯ জন শনাক্ত হয়েছিলেন। এদের মধ্যে বর্তমানে বাঘাইছড়ি, বরকল, জুরাছড়ি এবং বিলাইছড়িতে সবাই সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন। এছাড়া নানিয়ারচরে ৩ জন, কাউখালীতে ৪ জন, কাপ্তাইয়ে ৯ জন, রাজস্থলীতে ১ জন, লংগদুতে ৫ জন এবং সদরে ৯৩ জন এখন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

উল্লেখ্য, রাঙামাটিতে এখন পর্যন্ত ৩ হাজার ৭২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। যার মধ্যে ২ হাজার ৯০৮ জনের ফল পাওয়া গেছে।  ফলের অপেক্ষায় আছেন ১৬৪ জন। আইসোলেশনে ভর্তি আছেন ১৬ জন।