মাস্ক পরেননি কেন জানতে চাইলে পথচারী আশরাফুল হক জানান, জেলার কিশোরগঞ্জ থেকে আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে এসে স্যান্ডেল কিনতে বাজারে এসেছেন। তিনি বলেন, আমি গ্রামের মানুষ, আমাদের গ্রামে এখন আর করোনার জন্য কেউ মাস্ক পরে না। তাই ভাবলাম শহরে মাস্ক না পরলেও চলবে। তাছাড়া মুখে পান আছে, শেষ হলে পরে নেবো। মাস্ক নিয়ে এখন আর কেউ ভাবে না। তবে পকেটে আছে।
জেলা শহরের বড় বাজার ট্রাফিক মোড় পেরিয়ে কিচেন মার্কেটে যেতে হয়। জনবহুল এই মোড়ে একঘণ্টা দাঁড়িয়ে দেখা যায়, বাজারে যারা আনাগোনা করছেন তাদের মুখে মাস্ক নেই। মাঝে মধ্যে দুই-একজনের মুখে মাস্ক দেখা গেলেও তা ছিল থুতনির নিচে। এই মার্কেটে লোকজনের অবস্থা দেখলে মনে হয় দেশে করোনার প্রাদুর্ভাব নেই।
মাস্ক পরেননি কেন জিজ্ঞেস করলে রিকশাচালক তপন চন্দ্র রায় বলেন, দেখেন না কারও মুখে মাস্ক নাই। তাছাড়া ভ্যানচালক ও রিকশাচালক যে পরিশ্রম করে, তাতে করোনা ধরার ভয় নাই। শহরটা ঘুরে দেখেন, কয়জনের মুখে মাস্ক আছে। আগে তো এই স্ট্যান্ডে সরকারি-বেসরকারি লোকজন এসে মাস্ক পরিয়ে দিয়ে যেতো, এখন আর কাউকে দেখা যায় না। পুলিশও আসে না। তবে দেখবেন কারও না কারও ব্যাগে অথবা পকেটে মাস্ক আছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এলিনা আকতার জানান, করোনা সংক্রমণ এড়াতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষে মাইকিংসহ মাস্ক ও মানুষকে সচেতন করতে লিফলেটও বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও রুটিন ওয়ার্ক হিসেবে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে মাস্ক যারা থুতনিতে রেখেছেন তাদের জরিমানার আওতায় আনা হচ্ছে। এছাড়া পুলিশ মাঠে-ঘাটে ও গ্রামগঞ্জে যেখানে যাচ্ছে, করোনা প্রতিরোধে মানুষকে সচেতন করছে বলে জানান তিনি।