বাস চলাচলে স্বাস্থ্যবিধি নেই, তবুও আদায় হচ্ছে বর্ধিত ভাড়া

IMG_20200813_110536

করোনা সংকটে যাত্রী পরিবহনে সরকারঘোষিত স্বাস্থ্যবিধি না মানলেও যাত্রীভাড়া বৃদ্ধির বিষয়টি ঠিকই মানা হচ্ছে। এনিয়ে যাত্রীদের সাথে টিকিট কাউন্টারে থাকা শ্রমিকদের অহরহ বাকবিতণ্ডা চলছে। পরিবহন শ্রমিক নেতারা বলছেন, 'ভাড়া সরকার নির্ধারণ করেছে। আমাদের আসলে কিছুই করার নেই।' স্বাস্থ্যবিধিতে কড়াকড়ি আরোপে স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ জরুরি বলে মনে করেন শ্রমিক নেতারা।

যশোর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে খুলনার যাত্রী মোজাম্মেল হোসেন ও রেখা বেগম জানান, আগে ৭০ থেকে ৮০ টাকা ভাড়া নিলেও এখন দিতে হচ্ছে ১৪০ টাকা। টাকা বেশি নিলেও সিট কিন্তু ফাঁকা রাখা হয় না। বরং বিভিন্ন স্টপেজ থেকেও অতিরিক্ত যাত্রী নেওয়া হচ্ছে।

তারা আরও জানান, টাকা বেশি দিলেও স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়ে তাদের কোনও ব্যবস্থা নেই। সেকারণে আতঙ্ক নিয়েই ভ্রমণ করতে হচ্ছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক যশোর-কুষ্টিয়া রুটের একজন বাস শ্রমিক জানান, আগে যশোর থেকে কুষ্টিয়ায় ভাড়া নেওয়া হতো ১২০ টাকা, এখন তা ২০০ টাকা। ঝিনাইদহ পর্যন্ত ছিল ৬০ টাকা, বর্তমানে ১০০ টাকা।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, চার সিটে দুজন করে নিয়ে যাওয়ার কথা থাকলেও এখন অনেক সময় গাদাগাদি করেও যাত্রী নেওয়া লাগছে। শারীরিক দূরত্ব বা স্বাস্থ্যবিধি কেবল খাতাকলমেই সীমাবদ্ধ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

জানতে চাইলে বাংলাদেশ পরিবহন সংস্থা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মামুনুর রশিদ বাচ্চু বলেন, 'শ্রমিকরা আগের ভাড়ার ৬০ শতাংশ বেশি নিচ্ছে ঠিকই। কিন্তু এটি সরকার নির্ধারিত। বর্ধিত ভাড়ি নেওয়া হলেও স্বাস্থ্যবিধি খুব একটা মানা হচ্ছে না। যাত্রীদের সঙ্গে শ্রমিকদের ভুল বোঝাবুঝি বা দ্বন্দ্ব রয়েই গেছে। এসব সমস্যা সমাধানে স্থানীয় প্রশাসনকেই উদ্যোগ নিতে হবে।'

এ বিষয়ে যশোরের জেলা প্রশাসক মো. তমিজুল ইসলাম খান বলেন, 'বিষয়টি অবহিত হয়েছি। খুব শিগগির বিআরটিএ, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের সমন্বয়ে অভিযান পরিচালনা করা হবে।'