চমেক ছাত্রাবাসে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৫

চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজআধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের (চমেক) ছাত্রাবাসে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (১৩ আগস্ট) বিকাল চারটার দিকে নগরীর চকবাজার থানার চট্টেশ্বরী সড়কে চমেকের প্রধান ছাত্রাবাসে এই ঘটনা ঘটে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের পাঁচ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন কলেজ অধ্যক্ষ ডা. শামীম হাসান।

দুই পক্ষের এক পক্ষ শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী। অন্যপক্ষ চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী বলে জানা গেছে।

সাধারণ শিক্ষার্থীরা জানান, করোনাকালে কলেজ বন্ধ থাকলেও ছাত্রাবাস অফিসিয়ালি বন্ধ হয়নি। সেখানে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা থাকছেন। ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ছাত্রলীগের রাজনীতিতে আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী। বন্ধের মধ্যেও তারা ছাত্রাবাসে অবস্থান করছে জানতে পেরে উপমন্ত্রী নওফেলের অনুসারী অন্য ছাত্ররা সেখানে যান। তারা ছাত্রাবাসে উঠতে চাইলে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা তাদের বাধা দেন। পরে এ নিয়ে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

চকবাজার থানার ওসি মুহাম্মদ রুহুল আমীন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, বিকালে কয়েকজন ছাত্র একজোট হয়ে হলে উঠতে গিয়েছিলো। তখন বাদানবুাদ ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে উভয়পক্ষের সমর্থকরা ছাত্রাবাসে গিয়ে জড়ো হওয়ার চেষ্টা করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

তিনি আরও বলেন, ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ছাড়া বাকি ছাত্রদের হল থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। প্রভোস্ট ও হোস্টেল সুপারের সঙ্গে কথা হয়েছে, তারা জানিয়েছেন, শনিবার ইন্টার্ন চিকিৎসকদের বের করে ছাত্রাবাস পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হবে।

অধ্যক্ষ শামীম হাসান বলেন, ছাত্রাবাস খালি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগ করতে হবে। তবে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা হলে থাকতে পারবেন। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের পাঁচ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।