লক্ষ্মীপুরে ৮টি প্রাইভেট হাসপাতাল বন্ধের নির্দেশ

লক্ষ্মীপুরে হাসপাতালে অভিযানঅনিয়ম, অব্যবস্থাপনা এবং লাইসেন্স নবায়ন না করার অভিযোগে লক্ষ্মীপুরের রায়পুর ও রামগঞ্জ উপজেলায় প্রাইভেট হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে অভিযান চালিয়েছেন জেলা সিভিল সার্জন। মঙ্গলবার (২৫ আগস্ট) দুপুরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের লাইসেন্স নবায়ন না থাকা ও ডিপ্লোমা নার্স না থাকাসহ নানা অনিয়মের সত্যতা পান। পরে রায়পুর উপজেলার সাতটি প্রাইভেট হাসপাতাল ও রামগঞ্জ উপজেলায় একটি প্রাইভেট হাসপাতাল এবং চারটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়।

বন্ধ হওয়া হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো হলো- রায়পুরের মা ও শিশু হাসপাতাল, নিরাময় হাসপাতাল, জনসেবা হাসপাতাল, মেঘনা হাসপাতাল, মর্ডান হাসপাতাল, মেক্সকেয়ার হাসপাতাল, মেহেরুন নেসা হাসপাতাল, রামগঞ্জের রয়েল হাসপাতাল, মা মনি ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ইনসাফ ডায়াগনস্টিক সেন্টার, গ্রিন লাইফ ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও লাইফ কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টার।

অভিযানের সময় সিভিল সার্জনসহ তার টিম হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোর অপারেশন থিয়েটার, ফার্মেসি, প্যাথলজিক্যাল ল্যাব পরিদর্শন ও কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করেন। এসময় জেলা সিভিল সার্জন ডা. আবদুল গফফার, রায়পুর সরকারি হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. বাহারুল আলমসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সিভিল সার্জন ডা. আবদুল গফফার বলেন, কোনও প্রতিষ্ঠান বন্ধ বা সিলগালা করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়। আমরা চাচ্ছি, সেবামূলক প্রতিষ্ঠানগুলো নিয়মের মধ্য দিয়ে চলুক। আইনের মধ্যে থেকে মানুষের সেবা নিশ্চিত করুক তারা।

তিনি আরও বলেন, গত ২৩ আগস্ট হাসপাতালের ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের লাইসেন্স নবায়ন করার শেষ সময় পার হলেও তা না করাসহ রায়পুর ও রামগঞ্জ উপজেলার প্রাইভেট হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে নানা অনিয়ম পাওয়া গেছে। সেজন্য হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার কর্তৃপক্ষকে কাগজপত্রসহ অন্যান্য সমস্যাগুলো দ্রুত সমাধান করতে বলে সেগুলো বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ প্রাইভেট ক্লিনিক অ্যান্ড ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন লক্ষ্মীপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান চৌধুরী তুহিন বলেন, স্বাস্থ্য অধিদফতরে সব নিয়ম মেনে কাগজপত্র ও টাকা জমা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কর্মকর্তাদের হয়রানির কারণে কাগজপত্র পেতে দেরি হচ্ছে। লাইসেন্স নবায়ন না করায় কয়েকটি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে সিভিল সার্জন বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানতে পেরেছি।