বিয়ে করতে গিয়ে ভুয়া কনস্টেবল কারাগারে



ভুয়া কনস্টেবল কারাগারেমিথ্যা পরিচয়ে বিয়ে করতে গিয়ে কারাগারে যেতে হয়েছে মো. রাসেল শেখ (২৩) নামের এক ভুয়া পুলিশ কনস্টেবলকে। লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার সিঙ্গিমারী ইউনিয়নের কলেজ পড়ুয়া এক তরুণীকে তিনি বিয়ে করতে চেয়েছিলেন। সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকালে জেলার হাতীবান্ধা থানা পুলিশ মো. রাসেল শেখকে লালমনিরহাট আদালতে সোপর্দ করলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

রাসেল শেখের বাড়ি রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি পূর্বমৌকুড়ি এলাকায়। তার বাবার নাম মো. খোরশেদ আলী শেখ।

হাতীবান্ধা থানা পুলিশ ও মামলার বিবরণে জানা যায়, গত ১২ সেপ্টেম্বর প্রেমিক রাসেল শেখ নারায়ণগঞ্জ থেকে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার টংভাঙা ইউনিয়নের আনন্দ আবাসিক হোটেলে ওঠেন। ১৩ সেপ্টেম্বর দুপুরে সেখান থেকে একই উপজেলার সিঙ্গিমারী ইউনিয়নের দক্ষিণ গোড্ডিমারী এলাকার মো. আসাদুজ্জামানের ছেলে সুজন মিয়ার বাড়িতে যান রাসেল। সেখানে স্থানীয় বিয়ে নিবন্ধক কাজী জাহাঙ্গীর আলমকে ডেকে এনে হাতীবান্ধা মহিলা ডিগ্রি কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের এক শিক্ষার্থীকে বিয়ে করেন। পরে রাসেল শেখের পুলিশ কনস্টেবল পরিচয় যাচাই-বাছাই করা হলে তিনি পালানোর চেষ্টা করেন। এরপর লোকজন তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তার পুলিশ কনস্টেবল পরিচয়টি যে মিথ্যা তা ধরা পড়ে। পরে রাসেলের প্রেমিকার বাবা তাকে প্রধান আসামি এবং স্থানীয় কাজী জাহাঙ্গীর আলম ও সুজন মিয়াসহ আরও পাঁচ ব্যক্তিকে আসামি করে হাতীবান্ধা থানায় ওইদিন রাতে মামলা দায়ের করেন।

প্রেমিকার বড় বোন রাসেলকে নারী পাচারকারী উল্লেখ করে বলেন, ‘একটি সহজ সরল মেয়েকে কীভাবে এত দূর থেকে বিয়ে করতে আসে? বিষয়টি খতিয়ে দেখে ওই ছেলেকে জেলখাতে সারাজীবন আটকে রাখা দরকার। আমার মা নেই, অসুস্থ বাবাকে নিয়ে এখন আমরা কীভাবে বিষয়টি সামলাবো। আদালতে যেন যেতে না হয়, বিচার যেন হয়।’

হাতীবান্ধা থানার ওসি মো. এরশাদুল আলম মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আসামি রাসেল শেখের থেকে পিবিআইয়ের একটি ভুয়া পরিচয়পত্র উদ্ধার করা হয়েছে। তাকে লালমনিরহাট আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অপর আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।