রাবি উপাচার্যসহ ছয় জনের বিরুদ্ধে সাবেক উপাচার্যের স্ত্রী’র মামলা

মামলানিয়মবহির্ভূতভাবে পেনশন আটকে রাখার অভিযোগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহানসহ ছয় জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজশাহী যুগ্ম আদালত-১-এ মামলাটি দায়ের করেন  রাবি শেখ রাসেল মডেল স্কুলের সাবেক অধ্যক্ষ মোমেনা জীনাত। তিনি সাবেক ভিসি অধ্যাপক মিজান উদ্দীনের স্ত্রী।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এম এ বারী, কোষাধ্যক্ষ একেএম মোস্তাফিজুর রহমান আল আরিফ, শেখ রাসেল মডেল স্কুলের সভাপতি ও শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক গোলাম কবীর, শেখ রাসেল মডেল স্কুলের অধ্যক্ষ লিসাইয়া মেহ্জবীন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, মোমেনা জীনাত ১৯৯৮ সালের ১ মার্চ শেখ রাসেল মডেল স্কুলে সহকারী শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। ২০১৫ সালে তিনি স্কুলটির অধ্যক্ষ পদের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। স্কুলের সংশোধিত অবসর সংক্রান্ত বিধি অনুযায়ী গত বছরের ৩০ জুন তিনি এলপিআর-এ যান। এরপর বিধি অনুযায়ী তিনি ২০১৯ সালের জুন মাসের বকেয়া বেতন, জুলাই ২০১৯ থেকে জুন ২০২০ পর্যন্ত এক বছর এলপিআরের বকেয়া বেতন, দু’টি বোনাস, বৈশাখী ভাতা, অর্জিত ছুটির বিপরীতে প্রাপ্য টাকা, পূর্ণ অবসর বাবদ টাকা প্রভিডেন্ট ফান্ড, পেনশন গ্র্যাচুইটি ভাতাসহ অন্যান্য আর্থিক পাওনা বাবদ ৪৫ লাখ ৬১ হাজার ৯৪৫ টাকা পাওয়ার জন্য শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালকের মাধ্যমে রেজিস্ট্রার বরাবর আবেদন করেন।

কিন্তু মোমেনা জীনাত তার আবেদনের জবাব ও পাওনা অর্থ পাননি। পরে উপাচার্যের কাছে গত বছরের ১১ জুলাই প্রথমবার এবং এর দুই মাস পর গত ২২ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয়বারের মতো লিখিত আবেদন করেন। এরপরও কাজ না হওয়ায় মোমেনা জীনাত গত ২০ নভেম্বর আইনজীবীর শরণাপন্ন হলে উপাচার্যসহ অন্যান্য বিবাদীদের লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয় এবং এক মাসের মধ্যে বাদীর সব পাওনা পরিশোধের জন্য বলা হয়। কিন্তু এখনও বাদীর পাওনা পরিশোধ করা হয়নি।

মামলার বিষয়টি বাংলা ট্রিবিউনকে নিশ্চিত করেছেন বাদী পক্ষের আইনজীবী নূরে কামরুজ্জামান ইরান। তিনি বলেন, মঙ্গলবার দুপুরে রাজশাহী যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ আদালত-১-এ মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। আদালতের বিচারক জয়ন্তী রাণী মামলাটি আমলে নিয়ে আগামী ১৯ অক্টোবর আসামিদের আদালতে হাজির হতে সমন জারি করেছেন।

এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান ও রেজিস্ট্রার এম বারীর সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তারা কেউই ফোন রিসিভ করেননি।