পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ জানায়, বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ধরলা নদীর পানি ৩৮ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে সেতু পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ব্রহ্মপুত্রের পানি নুনখাওয়া পয়েন্টে ৩০ সেন্টিমিটার এবং চিলমারী পয়েন্টে ১৩ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে।
অন্যদিকে তিস্তার পানি কাউনিয়া পয়েন্টে ৮ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। পাশাপাশি তিস্তা অববাহিকায় নদী ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। তিস্তার ভাঙনে রাজারহাট ও উলিপুর উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নে শতাধিক পরিবার ভিটেমাটি হারিয়ে বাস্তুহারা জীবন যাপন করছেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুল ইসলাম জানান, গত দুই দিন ভারতে ভারী বৃষ্টিপাত হওয়ায় উজানের ঢলে জেলার নদ-নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। আগামী দুই দিন পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে। তবে ব্রহ্মপুত্রের পানি এখনও বিপৎসীমার এক মিটার নিচে থাকায় নদ-নদীর পানি দ্রুত নেমে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
তিস্তা অববাহিকায় ভাঙন প্রতিরোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড কাজ করছে বলেও জানান তিনি।