স্ত্রীসহ ৩ জনকে কুপিয়ে হত্যা, চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও একজনের মৃত্যু

ঘটনাস্থলে স্থানীয়দের ভিড় (ফাইল ছবি)নরসিংদীর শিবপুরে পারিবারিক কলহের জের ধরে স্ত্রীসহ বাড়িওয়ালা দম্পতিকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় আহত আরও একজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকালে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাড়িওয়ালার মেয়ে কুলসুম বেগমের (২৩) মৃত্যু হয়। এ নিয়ে এ ঘটনায় চার জন মৃত্যু হলো।

নিহত কুলসুম বেগমের স্বামী জিয়াউর রহমান তারেক ও শিবপুর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কালাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নিহতের স্বজনেরা জানান, ঢাকা মেডিক্যালে তিন দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর বুধবার ভোরে কুলসুম বেগমের মৃত্যু হয়েছে। কুলসুম বেগমের চার বছর বয়সী এক সন্তান রয়েছে। তিনি মনোহরদীর বগাদী গ্রামের স্বামীর বাড়ি থেকে কুমরাদী গ্রামে তার বাবার বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন।

গত রবিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ভোরে পারিবারিক কলহের জের ধরে শিবপুর উপজেলার কুমরাদী গ্রামে কাঠমিস্ত্রি বাদল মিয়া তার স্ত্রী নাজমা বেগমকে (৪০) কুপিয়ে আহত করে। এসময় তাকে বাধা দিতে গেলে তার এক সন্তানসহ বাড়ির মালিক তাজুল ইসলাম (৫৫) ও তার স্ত্রী মনোয়ারা বেগম (৪৫) এবং তাদের মেয়ে কুলসুমকে ছুরিকাঘাতে আহত করে। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক হামলাকারী বাদল মিয়ার স্ত্রী ও বাড়িওয়ালা দম্পতিকে মৃত ঘোষণা করে। ঢামেকে ভর্তি করা হয় আহত কুলসুম বেগমকে।

এ ঘটনায় কাঠমিস্ত্রি বাদল মিয়াকে পিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেন স্থানীয়রা। রবিবার রাতেই অভিযুক্ত বাদল মিয়াকে আসামি করে শিবপুর মডেল থানায় মামলা করেন নিহত বাড়িওয়ালা তাজুল ইসলামের ছেলে শাহিন মিয়া। বর্তমানে পুলিশি হেফাজতে নরসিংদী সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে অভিযুক্ত বাদল মিয়া। সুস্থ হওয়ার পর তাকে জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার কারণ জানা যাবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

 

আরও পড়ুন:
স্ত্রীসহ ৩ জনকে কুপিয়ে হত্যা!