মাইক্রো-পিকআপ সংঘর্ষ, নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩

ময়মনসিংহ

ময়মনসিংহের নান্দাইলে পিকআপ ভ্যান-মাইক্রোবাস সংঘর্ষের ঘটনায় ঝর্ণা আক্তার (৪৫) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এনিয়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো তিন জন। শনিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেল পাঁচটার সময় ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে ফাহাদ আলমের স্ত্রী রেবু আক্তার ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
শনিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টার দিকে ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের নান্দাইল উপজেলার ডাংরী এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হচ্ছেন- ফাহাদ আলম (৩২) তার ছেলে তুরান ফাহাদ (৫) ও তুরান ফাহাদের খালা ঝর্ণা খাতুন (৪৫)। আহতরা হলেন- ফাহাদ আলমের স্ত্রী রেবু আক্তার (২৫), শাহনাজ বেগম (২৫), হোসাইন আহমেদ (২৫), জেবু আক্তার (৩৫), হাসিনা শাহীন রোজী (৫২), বনা আক্তার (২০), মাখন (৫০), জারিফ (১২), ফেরদৌসী (৫০), শামীম (২৫)। আহতরা শেরপুর জেলার শ্রীবর্দি উপজেলার কাকিলাকুড়া গ্রামের বাসিন্দা। তারা সবাই নিকটাত্মীয়। হাওর দেখার জন্য কিশোরগঞ্জের নিকলির দিকে যাচ্ছিলেন।

নান্দাইল হাইওয়ে থানার ওসি মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, 'শেরপুর থেকে কিশোরগঞ্জের নিকলি হাওরে ভ্রমণে যাওয়ার পথে মাইক্রোবাসটির সঙ্গে নান্দাইলের ডাংরী এলাকায় ময়মনসিংহগামী একটি পিকআপ ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই বাবা ফাহাদ হোসেন ও পুত্র তুরান হোসেন মারা যায়।'

তিনি আরও বলেন, 'এই ঘটনায় আহত সাত জনকে নান্দাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও বাকি পাঁচ জনকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে ঝর্ণা নামে আরও এক নারীর মৃত্যু হয়।পিকআপটি জব্দ করা সম্ভব হলেও চালক পালিয়ে গেছে।'