আটকে পড়া পেঁয়াজের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত

আটকে পড়া পেঁয়াজে পচন ধরেছেনানা নাটকীয়তার পর গত শনিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) হাতে গোনা কয়েকটি পেঁয়াজের ট্রাক সোনামসজি স্থলবন্দর দিয়ে প্রবেশ করলেও; আটকে পড়া বাকি পেঁয়াজের ছাড়পত্র মিলছে না। এতে আগের এলসি করা ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি জটিলতার মুখে পড়েছে। এতে করে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে ওপারে আটকা পড়া পেঁয়াজের ভবিষ্যৎ।

সোমবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুর পর্যন্ত এলসির টেন্ডারের কোনও পেঁয়াজের ট্রাক আসেনি বলে জানিয়েছে সোনামসজিদ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ।

বন্দরের পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেডের বন্দর ব্যবস্থাপক মাইনুল ইসলাম জানান, ‘সকাল থেকে মোহদীপুর বন্দর দিয়ে অন্যান্য ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাক বন্দরে প্রবেশ করলেও নতুন করে পেঁয়াজের কোনও ট্রাক আসেনি। পেঁয়াজ প্রবেশের বিষয়ে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের অনুমতির কোনও চিঠিও আজ আসেনি। ফলে পুরনো এলসির আটকে পড়া পেঁয়াজ আমদানির বিষয়টি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।’

মোহদিপুর সিঅ্যান্ডএফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শ্রী ভুপতি মন্ডল জানান, ‘পেঁয়াজের বিষয়ে ভারতের মালদায় স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে গতকাল আমদানি ও রফতানিকারক গ্রুপ, কাস্টমস এবং সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট সদস্যদের একটি সভা হয়। তবে কোনও সিধান্ত আসেনি। এ বিষয়ে উভয় দেশের ব্যবসায়ী পর্যায়ে কথা-বার্তা চলছে।’

চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বারের সদস্য ও আমদানিকারক শহীদ জানান, ‘শনিবার আসা এলসির টেন্ডারের ৮ ট্রাক পেঁয়াজ নিয়ে আমদানিকারকরা বিরাট লোকসানের মুখে পড়েছে। এসব পেঁয়াজের ৬০ শতাংশই পচা। যার ফলে ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন আমদানিকারকরা।’

অপর আমদানিকারক আবুল হাসনাত দুরুল জানান, ভারতের মোহদিপুর বন্দরে ২০০ থেকে ২৫০ ট্রাক পেঁয়াজ আটকা পড়ে রয়েছে। আর ওপারে আটকে পড়া এসব পেঁয়াজের ভবিষ্যৎ এবং এলসি নিয়ে জটিলতার মধ্যে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা।