সূত্র জানায়, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের ছাত্র ও ভিক্টোরিয়া কলেজ ক্যাম্পাস সাংবাদিক আশিক ইরান গত শুক্রবার পণ্য ক্রয়ের জন্য তালাশ উর রহমান নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে অনলাইনে কথা বলেন। শনিবার সন্ধ্যায় নগরীর টমচম ব্রিজ এলাকায় এ বিষয়ে দেখা করতে গিয়ে তিনি হামলায় শিকার হন। এ সময় তার মানিব্যাগ থেকে পাঁচ হাজার তিনশ’ টাকা নিয়ে যাওয়া হয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
হামলার শিকার আশিক ইরান বলেন, অনলাইন থেকে পণ্য ক্রয় করার জন্য টমচম ব্রিজ যাই। সেখানে পৌঁছে আমি সাত-আট জনকে দেখতে পাই। তারা আমাকে একটা গলিতে নিয়ে যায়। একপর্যায়ে তারা তুই তুই করে বলতে শুরু করে। তারা বলে প্রোডাক্ট নিয়ে কোনও দামাদামি হবে না। আমাদের ঘর থেকে বের করছস, টাকা দিতে হবে। কিনলেও টাকা দিবি, না কিনলেও টাকা দিবি। আমরা কাউন্সিলর শিপন বসের লোক। মামলা দেই, মামলা খাই। হেডম লইয়া চলি। কথা বাড়াবি চাকু মারবো। এটা বলেই, খারাপ ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। রাফি আমাকে টানাটানি করে গলিতে নিয়ে যায়, এ সময় ওয়াফি নামের ছেলে বারবার বলে, মামাকে (কাউন্সিলর) কল দে, একে শেষ করে দেই। এ সময় রাফি ও বিশাল আমাকে এলোপাতাড়িভাবে মাথায়, মুখে ও পেটে আঘাত করে। আমি অজ্ঞান হয়ে যাই। এসময় তারা মানিব্যাগ নিয়ে যায়, এর মধ্যে পাঁচ হাজার ৩০০ টাকা, খুচরা কিছু টাকা, জাতীয় পরিচয়পত্র, কিছু ভিডিজিং কার্ড ছিলো। মানুষের সহযোগিতায় কুমিল্লা মেডিক্যাল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি হই। বিষয়টি ৯৯৯ নম্বরে জানাই। দুই দিন হাসপাতালে ভর্তি ছিলাম।
এ বিষয়ে ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শাখাওয়াত উল্লাহ শিপন জানান, কেউ যদি আমার রেফারেন্সে কোনও অপরাধ করে, তার কোনও ছাড় নয়। আইনে যা হয়, এটার মধ্যে আমি একমত। বিশাল, ওয়াফী সরকার ও আদনান হাসান রাফি আমার ভাগিনা এটা ঠিক। অন্যায়ের পক্ষে আমার কোনও আপস নাই। প্রশাসন বা ওই ছেলে যদি আমাকে ডাকায় আমি যেতে বাধ্য। আমার রেফারেন্স তো যে কেউ দেবে। এখানে আমার রাজনৈতিক রিরোধী পক্ষও আছে, তারাও অপপ্রচার চালাতে পারে। তাই আইন যা বলে, তাই হবে।
আশিক ইরানের ভাই মাসুদ রানা জানান, থানায় অভিযোগ দিয়েছি। অভিযুক্ত সব সন্ত্রাসী ও মদত দাতা কাউন্সিলরের উপযুক্ত বিচার চাই। কুমিল্লা শহর যেন সন্ত্রসীদের দখলে চলে না যায়। অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানান তিনি।