পৌর নির্বাচনের আগে সীমানা বৃদ্ধির গেজেট বাতিলের দাবি




জয়পুরহাটসীমানা বৃদ্ধি করে তিন ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকাকে জয়পুরহাট পৌরসভায় অন্তর্ভুক্তি করে প্রকাশিত গেজেট বাতিলের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। সচেতন নাগরিক সমাজের ব্যানারে সোমবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় জয়পুরহাট প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তারা এ দাবি জানান। এ ঘটনায় ক্ষোভ জানিয়ে তারা তিন দিনের কর্মসূচির পাশাপাশি আইনি লড়াইয়েরও ঘোষণা দেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জয়পুরহাট পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হোসেন হিমু। লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করা হয়, আগামী ডিসেম্বর মাসে জয়পুরহাট পৌরসভার নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করতেই একটি কুচক্রি মহল এ ধরনের পায়তারা শুরু করেছে। তারা অতিগোপনে জয়পুরহাট সদরের বম্বু, পুরানাপৈল এবং দোগাছি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের সঙ্গে যোগসাজশ করে এ গেজেট প্রকাশ করেছে।

তাদের দাবি, পৌরসভার উন্নয়নের জন্য এলাকার সীমানা বর্ধিতকরণ স্বাভাবিক প্রক্রিয়া হলেও নির্বাচনের মাত্র কয়েক মাস আগে সীমানা বাড়ানোর গেজেট প্রকাশ পৌরসভার উন্নয়নে নয়, নির্বাচনবিহীন ক্ষমতায় থাকার জন্যই পৌর মেয়র এ ধরনের অপচেষ্টা করছেন।

সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, সীমানা বর্ধিতকরণের অপকৌশল নিয়ে কোনও একক ব্যক্তির ক্ষমতা পাকাপোক্ত করে তার ভাগ্যোন্নয়ন ঘটুক জয়পুরহাটবাসী তা চায় না। অবিলম্বে সীমানা বর্ধিতকরণের গেজেট বাতিল করার দাবি জানানো হয়। একই দাবিতে বিকালে পুরানাপৈল বাজারে প্রতিবাদ সমাবেশ হয়।

সংবাদ সম্মেলন থেকে মঙ্গলবার জয়পুরহাট শহরের কেন্দ্রীয় মসজিদ চত্বরে মানববন্ধন এবং বুধবার একইস্থানে প্রতিবাদ সভা আয়োজনের ঘোষণা করেন। আয়োজকরা বলেন, এই গেজেট বাতিল না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন কর্মসূচির পাশাপাশি আইনি লড়াইও ঘোষণা দেন তারা।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জয়পুরহাট পৌর আ.লীগের সভাপতি আজম আলী, সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হোসেন হিমু, পুরানাপৈল ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আ.লীগ নেতা নিখিল চন্দ্র মন্ডল, বম্বু ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুক হোসেনসহ পৌরসভা ও ওই তিন ইউনিয়নের শতাধিক ভোটার।