চাচাকে হত্যার দায়ে ভাতিজার যাবজ্জীবন

কুষ্টিয়ায় চা দোকানি মিঠুন হোসেন হত্যা মামলায় তার ভাতিজা শিমুল হোসেনকে (৩০) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

কুষ্টিয়ায় চা দোকানি মিঠুন হোসেন হত্যা মামলায় তার ভাতিজা শিমুল হোসেনকে (৩০) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং তার স্ত্রীসহ দুই আসামির ১০ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ অরূপ কুমার গোস্বামী এ রায় ঘোষণা করেন। এসময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন- কুষ্টিয়ার সদর উপজেলার ঢাকা ঝালুপাড়া এলাকার মৃত মওলা মন্ডলের ছেলে মো. শিমুল হোসেন (৩০)। এ ছাড়াও দশ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি শিমুল হোসেনের স্ত্রী সাথী বেগম (২৬) ও একই এলাকার খয়বার আলী প্রামানিকের ছেলে সবুজ হোসেন (২৪)। এ মামলা থেকে অভিযুক্ত লিটন হোসেন, মনিরুল ইসলাম ও

খয়বার আলী প্রামানিককে বেকসুর খালাস দেন আদালত।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ১৩ আগস্ট রাতে কুষ্টিয়ার সদর উপজেলার ঢাকা ঝালুপাড়া এলাকায় চায়ের দোকান থেকে নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন মিঠুন হোসেন। এ সময় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ভাতিজা শিমুল পেছন দিক থেকে ধারালো হাঁসুয়াদিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করেন। পরে গুরুতর আহত মিঠুনকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় পরদিন ১৪ আগস্ট নিহত মিঠুনের স্ত্রী রিনা বেগম ৬জনের নামোল্লেখসহ কুষ্টিয়া মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত শেষে ২০১৮ সালের ২৫ ডিসেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ।

কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট অনুপ কুমার নন্দী জানান, শুনানি শেষে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আদালত নিহত মিঠুনের ভাতিজা শিমুল হোসেনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ১ বছর সাজার আদেশ দেন। এ ছাড়াও সাথী বেগম ও সবুজ হোসেনকে ১০ বছরে করে কারাদণ্ড ও প্রত্যেকেকে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ৬ মাসের সাজার আদেশ দেন। সেইসঙ্গে মামলার বাকি তিন আসামিকে খালাস দেন আদালত।