পঞ্চগড়ে মৌসুমের সর্বোচ্চ ২১৭.৭ মিলিমিটার বৃষ্টি

পঞ্চগড়ে ভারী বৃষ্টিতে শহরেও জমে গে‌ছে পা‌নি। জেলা সদর হাসপাতা‌লের সাম‌নে।

আকস্মিক ভারী বর্ষণে পঞ্চগড়ের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। গ্রামাঞ্চল তো বটেই পঞ্চগড় জেলা শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতেও কোথাও কোথাও হাঁটু পানি জমেছে। অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা, খাল দখল করে ভরাট করা ও স্বাভাবিক পানি প্রবাহের ব্যবস্থা না থাকাই এ জলাবদ্ধতার কারণ বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

পঞ্চগড় পৌরসভার ইসলামবাগ, কায়েতপাড়া, ডোকরোপাড়া, রামেরডাঙ্গা, রাজনগর, খালপাড়া, নীমনগরসহ বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি ডুবেছে। ডিসি অফিস, জজকোর্ট, পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতাল, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন অফিসেও সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে জলাবদ্ধতা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।

পঞ্চগড় জেলা গুদা‌মের সাম‌নে

আকস্মিক ভারী বর্ষণে জলাবদ্ধতার ফলে পঞ্চগড় সদর উপজেলা খাদ্য গুদামের দেয়াল দিয়ে পানি ঢুকে পড়েছে। এর ফলে গুদামে সংরক্ষিত ১৬৯ বস্তা চাল ভিজে গেছে। খাদ্যগুদাম কর্তৃপক্ষ বাধ্য হয়ে এসব চাল অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।

এদিকে, এবারের বর্ষা মৌসুমের শেষ সময়ে এসে এ বছরের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে পঞ্চগড়ে। সারাদিন বৃষ্টি ছিল কখনও গুঁড়ি গুঁড়ি আবার কখনও মুষলধারে।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম জানান, বুধবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৩টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় পঞ্চগড়ে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ২১৭.৭ মিলিমিটার। আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর (শনিবার) পর্যন্ত এই বৃষ্টিপাত হতে পারে। তবে এর মধ্যে কোথাও গুঁড়ি গুঁড়ি আবার কোথাও মুষলধারে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।