ঢাবি’র সাবেক ছাত্র জাকারিয়া শুভকে হত্যার বিচার দাবিতে মানববন্ধন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী জাকারিয়া বিন হককে হত্যার বিচার দাবিতে লারমনিরহাটের তুষভাণ্ডারে মানববন্ধন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক মেধাবী শিক্ষার্থী জাকারিয়া বিন হক শুভ'র(২৮) হত্যার বিচারের দাবিতে লালমনিরহাটে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী ও নিহতের স্বজনরা।

রবিবার (২৭-সেপ্টেম্বর) বেলা ১২টা থেকে জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার তুষভাণ্ডার বাজারে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। 

গত বৃহস্পতিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টার দিকে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের তাজমহল রোডের বাসা থেকে শুভর মরদেহ উদ্ধার করে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ।

নিহত শুভ লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার উত্তর ঘনেশ্যাম (এমসি মোড়) এলাকার আব্দুল হকের ছেলে। ওয়ালটনের মোবাইল সেক্টরের টেরিটরি সেলস ম্যানেজারের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। চাকরির সুবাধে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের তাজমহল রোডে শ্বশুরালয়ের পাশে ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন তিনি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী জাকারিয়া বিন হক শুভকে হত্যার বিচার দাবিতে তার জন্মস্থান লালমনিরহাটের তুষভাণ্ডারে এলাকাবাসীর মানববন্ধন।

এ ঘটনায় নিহতের বড়বোন হাসিনা নাজনীন বিনতে হক বাদী হয়ে শুক্রবার রাতে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় একটি  হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় শুভর স্ত্রী শেহনীলা নাজ ও শাশুড়ি আছমা বেগমসহ অজ্ঞাতদের আসামি করা হয়েছে।

শুভ হত্যার বিচার দাবিতে রবিবার(২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে দোকান-পাট বন্ধ রেখে লালমনিরহাট-বুড়িমারী মহাসড়কে মানববন্ধন করেন এলাকাবাসী ও স্বজনরা। এসময় সুষ্ঠু তদন্ত করে অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেন বক্তারা।

জাকারিয়া বিন হক শুভকে হত্যার বিচার দাবিতে তার জন্মস্থান তুষভাণ্ডারে বিক্ষোভ।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মাহবুবুজ্জামান আহমেদ, তুষভাণ্ডার ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নুর ইসলাম, নিহত শুভ'র বড়বোন হাসিনা নাজনীন বিনতে হক, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি প্রভাষক রেফাজ রাঙ্গা, কালীগঞ্জ প্রেসক্লাব সভাপতি আমিরুল ইসলাম হেলাল, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ বাবু প্রমুখ।

নিহতের বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয় স্বজন, এলাকাবাসী ও তুষভান্ডার বাজারের ব্যবসায়ীরা মানববন্ধনে অংশ নেন। মানববন্ধন শেষে নিহত শুভ'র আত্মার শান্তি কামনা করে মোনাজাত করা হয়। এরপর একটি বিক্ষোভ মিছিল তুষভাণ্ডার বাজার প্রদক্ষিণ করে প্রেসক্লাব চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।