ইউএনওর উপর হামলা

আদালতে দায় স্বীকার রবিউলের, পরিবারের দাবি জড়িত নয়

_DSC0033

 

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও তার বাবার ওপর হামলার ঘটনায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদানকারী আসামি রবিউল জড়িত নয় বলে দাবি জানিয়েছে তার পরিবার। পরিবারের অভিযোগ, প্রকৃত সন্ত্রাসীদের বাঁচানোর উদ্দেশ্যে রবিউলকে ফাঁসানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় দিনাজপুর প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এই দাবি জানিয়েছে রবিউলের ভাই রশিদুল ইসলাম। এসময় রবিউলের মা রহিমা বেগম, ভাই রহিদুল ইসলাম, আজিজুর রহমান, প্রতিবেশী আব্দুল মালেক, প্রতিবেশী জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। এছাড়াও সংবাদ সম্মেলনে পরিবার ও এলাকাবাসী নিয়ে প্রায় অর্ধশত মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, চলতি বছরের ১১ জানুয়ারি ঘোড়াঘাট ইউএনও কার্যালয় থেকে সাময়িক বরখাস্ত করার পর থেকেই রবিউল ইসলাম বাড়িতে অবস্থান করছিল। ইলেকট্রিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার মাধ্যমে জানতে পারি যে, ইউএনও ও তার বাবার ওপর ২ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে নিজ বাসায় হামলা হয়। এই ঘটনার সঙ্গে আমার ছোট ভাই রবিউল ইসলামের কোনও সংশ্লিষ্টতা নাই। এক পর্যায়ে হঠাৎ করে ডিবি পুলিশ আমার ছোট ভাই রবিউলকে আমাদের বাড়ি থেকে ৯ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত অর্থাৎ ১০ সেপ্টেম্বর রাত ১টা ৩০ মিনিটে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যায়। তিন দিন পর মিডিয়ার মাধ্যমে জানতে পারি যে, ইউএনও ওয়াহিদা খানম ও তার পিতাকে মারার মামলায় ডিবি পুলিশ আমার ভাইকে ধৃত দেখিয়ে তাকে রিমান্ডে নিয়ে তার ওপর চাপ সৃস্টি করে এবং সে ইউএনও ওয়াহিদা খানম ও তার পিতাকে একাই মেরেছে মর্মে আদালতে জবানবন্দি প্রদানে বাধ্য করেছে। প্রকৃতপক্ষে আমার ছোট ভাই রবিউল বর্ণিত ঘটনার বিষয়ে কোনও কিছু জানে না এবং
সে ওই ঘটনার সঙ্গে কোনোভাবেই জড়িত ছিল না। প্রকৃত সন্ত্রাসীদের বাঁচানোর অসৎ উদ্দেশ্যে আমার ছোট ভাই রবিউলকে মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। আমরা বিষয়টির সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ তদন্ত এবং প্রকৃত অপরাধীর বিচার কামনা করছি।

উল্লেখ্য, গত ২০ সেপ্টেম্বর দিনাজপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালত-৭ এ ইউএনও ও তার বাবার ওপর হামলার ঘটনায় দায় স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন বিরল উপজেলার ধামাহার গ্রামের মৃত খতিব উদ্দিন আহাম্মেদের ছেলে রবিউল ইসলাম। গত ১২ তারিখ থেকে ২০ তারিখ পর্যন্ত আদালতের আদেশে ডিবি পুলিশের হেফাজতে ৯ দিনের রিমান্ডে ছিল সে। এর আগে গত ২ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে ঘোড়াঘাট ইউএনও ও তার বাবার ওপর হামলা হয়।