কাজী মোহাম্মদ তারেক আজিজ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘গত ২৪ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের পর এতদিন ফারুক পলাতক ছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা আজ ভোরে নগরীর বায়েজিদ এলাকা থেকে তাকে আটক করি। এ বিষয়ে বিস্তারিত দুপুর ১টায় সংবাদ সম্মেলনে জানানো হবে।’
আটক ফারুক বহদ্দারহাট খাজা রোডের বাসিন্দা বলে জানা গেছে। বহদ্দারহাটে সে একটি দোকান পরিচালনা করতো।
প্রসঙ্গত, গত ২৪ আগস্ট চট্টগ্রাম নগরীর পুরাতন চান্দগাঁও এলাকায় রমজান আলী সেরেস্তাদারের বাড়িতে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। খুন হওয়া গুলনাহার বেগম (৩৩) ছেলে রিফাত (৯) ও মেয়ে ময়ূরীকে নিয়ে ওই বাড়িতে ভাড়া বাসায় থাকতেন। ২৪ আগস্ট সন্ধ্যায় ময়ূরী গার্মেন্টস থেকে ফিরে দেখেন বাসায় মা ও ছোট ভাইয়ের মরদেহ পড়ে আছে। এরপর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ তাদের মরদেহ উদ্ধার করে।
ঘটনার পর নিহত গুলনাহারের মেয়ে ময়ূরী পুলিশকে জানিয়েছিল, আটক ফারুক তার মাকে বোন ডেকেছিল। ফারুক আমাদের বাসায় আসা-যাওয়া করতো। পাঁচ বছর ধরে ফারুকের সঙ্গে তাদের পরিচয়। ঘটনার কিছুদিন আগে ফারুকের সঙ্গে তার মায়ের ঝগড়া হয়। ওই ঘটনার জের ধরেই ফারুক তার মা এবং ভাইকে খুন করতে পারে।
এদিকে ঘটনার পর থেকে ফারুক পলাতক থাকায় তার প্রতি সন্দেহ জোরালো হয়। পরে তাকে আসামি করে ময়ূরী থানায় মামলা দায়ের করেন। পলাতক থাকায় এতদিন পুলিশ তাকে গ্রেফতার করতে পারেনি।