করোনায় আক্রান্ত রোগী শরিফুল ইসলাম স্বপন জানান, তিনি ও তার স্ত্রী দু’জনেই করোনায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে। তিনি চুয়াডাঙ্গার চিকিৎসক ও নার্সদের চিকিৎসার বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, তারা যথেষ্ট ভালো আচরণ এবং সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণের মাধ্যমেই আমাদের সুস্থ করে তুলেছেন।
রোগীদের সঙ্গে আসা আত্মীয় দামুড়হুদা উপজেলার আল আমিন টিটু বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, আমাদের রোগী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় চিকিৎসক এবং নার্সরা যথেষ্ট ভালো সেবা দিয়েছেন।
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার বলেন, জেলায় আগের তুলনায় করোনা রোগীর সংখ্যা কমে গেছে এবং সাধারণ জনগণ তাদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে শুরু করেছেন। কিন্তু আগামীতে করোনার দ্বিতীয় প্রভাব বিস্তার রোধে বেশ কিছু কর্মপরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। এ জেলায় সাধারণ মানুষের মাঝে মাস্ক ব্যবহারে অনীহা হওয়ায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের পাশাপাশি জেলার সব বাজার কমিটির সঙ্গে আলোচনা করে ‘নো মাস্ক-নো শপিং’ চালু করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক আরও জানান, করোনাকালে যে ত্রাণ সহায়তা কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছিলো, তা আপাতত বন্ধ রয়েছে। স্বাভাবিক আপদ কালীন আর্থিক সহায়তা কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। জেলার হতদরিদ্র জনগোষ্ঠিকে এখনও আর্থিক সহায়তাসহ বিভিন্ন খাদ্য সহায়তা দেওয়া হচ্ছে বলে জানান জেলা প্রশাসক।